মেরেকেটে ১,২০০ প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। সেজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে দশমীতে গঙ্গা দূষণ রোখাই মূল চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে কলকাতা পুরনিগমের। পুর আধিকারিকদের বক্তব্য, আজ মূলত বনেদি বাড়ির প্রতিমার নিরঞ্জন হবে। যাতে গঙ্গার দূষণ রোখা যায়, সেজন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ফুল, বেলপাতার মতো পুজোর সামগ্রী গঙ্গায় ফেলা যাবে না বলে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ দশমী হলেও মূলত বনেদি বাড়ির প্রতিমার নিরঞ্জন হবে। সেইসঙ্গে কয়েকটি ছোটো-ছোটো বারোয়ারি পুজোরও প্রতিমার নিরঞ্জন হতে পারে। পুর আধিকারিকদের ধারণা, দশমীতে ১,০০০ থেকে ১,২০০-র মতো প্রতিমার নিরঞ্জন হতে পারে। তথাকথিত বড় পুজোগুলি এখনই প্রতিমা নিরঞ্জন করবে না।
আরও পড়ুন: Idol Immersion: প্রতিমা নিরঞ্জনে গঙ্গার ঘাটে চূড়ান্ত প্রস্তুতি পুরসভার, মাঠে নামছে পুলিশও
সেজন্য অবশ্য প্রথমদিনের ‘পরীক্ষা’-র প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না কলকাতা পুরনিগম। কলকাতার ১৬ টি গঙ্গার ঘাটেই প্রস্তুতি চলছে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর যাতে গঙ্গা থেকে দ্রুত কাঠামো তুলে আনা হয়, সেদিকে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। থাকছেন স্বেচ্ছাসেবক ও জরুরি চিকিৎসা দলের সদস্যরা। সব ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে লাগাতার নজরদারি চালানো হবে।
গঙ্গায় দূষণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ পুরনিগমের?
পুর কর্তারা জানিয়েছেন, গঙ্গা যাতে দূষিত না হয়, সেজন্য বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে কলকাতা পুরনিগম। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর যাতে সঙ্গে-সঙ্গে গঙ্গা থেকে কাঠামো তুলে নেওয়া হয়, সেজন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিমার গায়ে যে রং থাকে, তা গঙ্গায় মিশে গেলে মারাত্মক দূষণ হতে পারে। তাই ক্রেন চালকরা অত্যন্ত তৎপর থাকবেন।
সেইসঙ্গে প্রতি বছর গঙ্গায় ফুল, বেলপাতার মতো পুজোর সামগ্রী ফেলার সমস্যা দেখা যায়। সেই প্রবণতা রুখতে ঘাটে-ঘাটে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করতে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন বলে জানিয়েছেন পুরনিগমের আধিকারিকরা।