একের পর এক গুলি। গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল সিআইএসএফের জওয়ান রঞ্জিত কুমার সারেঙ্গির শরীর। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা জাদুঘর চত্বরের ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেই দেহের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এল রবিবার।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার আগেই জানিয়েছিলেন, ১৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে মৃত এএসআইয়ের শরীরে অন্তত ৫টি গুলি লেগেছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থান একেবারে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায়। সূত্রের খবর, তাঁর কপালে, বুকে, পেটে, হাতে গুলি লেগেছিল। গলায় ও বুকের সংযোগস্থলে ও মাথায় লাগা গুলি তাঁর মৃত্যুর অন্য়তম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই শরীর থেকে ভয়াবহ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তারপর আর বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ওড়িশার ঢেঙ্কানলে তাঁর বাড়ি। কফিনবন্দি দেহ পাঠানো হবে ওড়িশার বাড়িতে।
অন্য়দিকে জখম অ্য়াস্টিট্যান্ট কমান্ডান্টকে এদিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু কেন তাঁদের উপর রাগ ছিল অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয় কুমার মিশ্রের?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ছুটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাগ ছিল অভিযুক্ত হেড কনস্টেবলের। এরপরই ছুটি দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত সেকশনে যারা কর্মরত ও তাঁর উপরমহলের আধিকারিকদের উপরই তাঁর ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর মিলেছে। এরপরই কি তিনি টার্গেট করে ফেলেছিলেন কয়েকজনকে?
তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট অবশ্য জানিয়েছেন, ইনস্ট্যান্ট ঘটনা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষ। এদিন জাদুঘর চত্বর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কোথায় কোথায় গুলি লেগেছে, কোন পরিস্থিতিতে তিনি গুলি চালিয়েছিলেন সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।