একেবারে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে বিজেপি নেতার দেহ। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এর পেছনে শাসকদলের হাত রয়েছে। তাদের দাবি পৃথ্বীরাজ নস্কর নামে ওই বিজেপি নেতা আরজি কর কাণ্ডের ন্যায় বিচার চেয়ে এলাকায় ব্যানার টাঙিয়েছিলেন। তার পর থেকেই তৃণমূলের আক্রোশ বাড়ছিল। তবে এবার সেই খুনের কারণ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে বিবৃতি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কার্যত তদন্তের আগেই খুনের কারণ জানিয়ে দিলেন কুণাল।
কুণাল লিখেছেন, উস্তি থানা এলাকায় আটপাড়ায় বিজেপি অফিসেই বিজেপি নেতা পৃথ্বীরাজ নস্করের রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ওদের পার্টি অফিসেই ওদের নেতার মৃত্যু। ওরা সব জানে।
আমাদের কাছে সূত্রের খবর, একাধিক সম্পর্কের জটিলতায় খুন। মৃতদেহের যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন আছে। কোনো মহিলার সঙ্গে টানাপোড়েনে খুন। ধর্ষণের চেষ্টা রুখতে আঘাত করেছিলেন মহিলা। তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। এসব কান্ড চলত ওই দলীয় কার্যালয়তেই।
এই হল বিজেপি আর ওদের পার্টি অফিস। লিখেছেন কুণাল ঘোষ।
কিন্তু এখানে একাধিক প্রশ্ন, এখনও তো তদন্তই শেষ হয়নি। তার আগে এত নিশ্চিতভাবে কীভাবে বলতে পারে তৃণমূল? তাছাড়া কেন খুন হয়েছে, কীভাবে খুন হয়েছে সেটা তো জানাবে পুলিশ। তার আগে তৃণমূল নেতা যেভাবে বিবৃতি দিচ্ছেন তাতে কি তদন্ত প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে না? প্রভাবিত হবে না? সেই প্রশ্নটাও উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শাসকদলের পক্ষ থেকে যখন কোনও নির্দিষ্ট বিষয়কে ঠিক করে দেওয়া হয় তখন কি তদন্ত সেই গন্ডির বাইরে বেরোতে পারবে?
শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে বিজেপির একটি পার্টি অফিস থেকে দলের মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া সেলের কনভেনর পৃথ্বীরাজ নস্করের দেহ উদ্ধার হয়। গত ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, সক্রিয় বিজেপি কর্মী পৃথ্বীরাজকে খুন করে দেহ পার্টি অফিসে রেখে গিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।
এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে এই খুনের ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পৃথ্বীরাজ। তার পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। শুক্রবার গভীর রাতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। নিহতের আত্মীয়দের দাবি, অন্যত্র খুন করে দেহ পার্টি অফিসে রেখে গিয়েছে কেউ বা কারা।
তবে কুণালের দাবি, মহিলার সঙ্গে টানাপোড়েনের জেরে এই খুন।