বিরোধী দলনেতার পদমর্যাদা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে একথা বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালতের নির্দেশ, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির চত্বর রাজ্য সরকারের নথিতে স্পর্শকাতর এলাকা বলে উল্লেখ রয়েছে। ফলে সেখানে মিটিং মিছিলের অনুমতি দেওয়ার আগে বিবেচনা করা উচিত রাজ্য সরকারের।
কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে দাবি করে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, শুভেন্দুবাবুর বাড়ির চারপাশে রাত ৮টার পর কোনও রকম লাউডস্পিকার বাজানো যাবে না।
এছাড়া শুভেন্দুবাবুর বাড়ির আসেপাশে যে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে তার মুখ কোনদিকে ঘোরানো থাকবে তা বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। শুভেন্দুবাবুর দাবি, রাজ্য সরকার তাঁর বাড়ির আসেপাশে এমনভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে যাতে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এছাড়া শুভেন্দুবাবুর বাড়ির আসেপাশে রাজনৈতিক মিটিং মিছিলের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির আগে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তাদের অবস্থান জানাতে হবে।
বলে রাখি, কাঁথি শহরের ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর বাসিন্দা অধিকারী পরিবার। ওই বাড়িতে শুভেন্দুবাবু ছাড়াও তাঁর বৃদ্ধ বাবা তথা স্থানীয় সাংসদ শিশির অধিকারী, মা গায়ত্রী অধিকারী, ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবার বাস করে।