টানা বৃষ্টিতে বহু আলুর জমি জলের তলায়। এ নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের বহু আলুচাষি। তারইমধ্যে আত্মঘাতী হলেন মেদিনীপুরের এক আলুচাষি। পরিবারের দাবি, চাষে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কায় আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এলাকায়। আলুচাষির নাম ভোলানাথ বায়েন। তিনি কাঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্যঝাটির বাসিন্দা।
গতবার ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেই কারণে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় অন্যান্য চাষিদের মতো আলু চাষ করেছিলেন ভোলানাথ। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন তিনি। এর জন্য ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু, টানা বৃষ্টিতে মাঠে জল জমে যায়। সেই কারণে ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। এই নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। অবশেষে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে দাবি পরিবারের।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আলু চাষ করা নিয়ে সোমবার স্ত্রী'র সঙ্গে ভোলানাথের ঝামেলা হয়। এরপর তিনি বিষ পান করেন। ঘটনায় তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ভোলানাথের চারটে মেয়ে রয়েছে। তাঁদের সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এখন বাড়িতে থাকে ভোলানাথ এবং তার স্ত্রী। চাষেই তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়। আলু চাষের ক্ষতি হওয়ার পর থেকেই স্ত্রী ও স্বামীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। '
অন্যদিকে, আলুচাষিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জমিতে থাকা পাকা ধান নষ্ট হয়েছে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে। বিশেষ করে ক্যানিং, গোসাবা, জয়নগর, কুলতলি, বাসন্তী প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধানের জমি জলের তলায় চলেগিয়েছে। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য তাদের কাছে আর কোনও উপায় থাকবে না বলে মনে করছেন চাষিরা।