একেবারে ফিল্মি কায়দায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ছেলেকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটে। খাস কলকাতায় ব্যবসায়ীর ঘরে ঢুকে ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই ওই অপহৃত কিশোরকে উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। হাওড়া থেকে ওই ব্যবসায়ী পুত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত চার অপহরণকারীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে গান পয়েন্টে ব্যবসায়ী পুত্রকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। একেবারে বাবা–মায়ের সামনে থেকে ছেলেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে ওই ব্যবসায়ী পুত্রকে গাড়িতে তুলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর মুক্তিপণ বাবদ দেড় লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। আর দেড় ঘণ্টার মধ্যে অপহরণকারীদের পাকড়াও করে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রজক এবং তার দলবল ধাপার বাসিন্দা দিলীপ কুমারের বাড়িতে আসে। বাড়িতে ঢুকে বন্দুক দেখিয়ে পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমারের ১৯ বছরের কিশোর ছেলে প্রিন্স কুমারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর তুলে নিয়ে যায় রুপোলি রঙের একটি গাড়িতে করে। ব্যবসায়ীকে হাওড়ায় এসে টাকা দিয়ে আসতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: জনজাতি বৃদ্ধাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ গোসাবায়, লাগাতার অত্যাচারে মৃত্যু, গ্রেফতার অভিযুক্ত
অন্যদিকে পুলিশকে তখন সবটা জানিয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার। কলকাতা পুলিশ পুরো পরিকল্পনা করে টাকা নিয়ে ব্যবসায়ীকে এগিয়ে দেন। আর সাদা পোশাকে ছড়িয়ে পড়েন। একইসঙ্গে পুলিশ লোকেশন ট্র্যাক করতে থাকেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এভাবেই গোটা অপারেশন চালিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হল— সঞ্জয় রজক, রাজেশ মল্লিক, সোনু মল্লিক এবং বিশাল যাদব। প্রগতি ময়দান থানা এলাকার বাসিন্দা দিলীপ কুমারের বাড়িতে সঞ্জয়রা ঢুকে দিলীপ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর পুত্র প্রিন্সকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এই ঘটনা জানান ওই ব্যবসায়ী।
এছাড়া ওই ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার অপহরণকারী সঞ্জয় রজকের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। আর সেই টাকা দিতে দেরি হচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। ওই টাকা ফেরত পেতেই এমন অপহরণ বলে জানা যাচ্ছে। অপহরণ করার পর দিলীপ কুমারকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিয়ো পাঠায় ছেলে প্রিন্স। যেখানে সে জানিয়ে দেয়, সঞ্জয় রজকের দলবল তাকে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তারপরই সঞ্জয় রজক ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ দেড় লাখ টাকা চেয়ে সরাসরি ফোন করে দিলীপ কুমারকে। আর হাওড়ায় চলে আসতে বলে। হাওড়ার পিলখানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং অপহৃত ছেলেকেও উদ্ধার করে। দিলীপের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময়ই অভিযুক্তদের ধরে ফেলে পুলিশ।