গতকাল ১০৭টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস। যা প্রকাশ করতে দেখা যায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে যায় ওই প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার সময় পার্থবাবু বলেছিলেন, কোনও বিধায়ককে এই নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এই প্রার্থী তালিকায় সিলমোহর দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। এমনকী এই নিয়ে পিকে বনাম পার্থ কথা কাটাকাটি হয় বলে সূত্রের খবর।
কেন পরিস্থিতি জটিল হল? দলীয় সূত্রে খবর, এই তালিকা তৈরির কাজে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং মিডিয়া গ্রুপে বিশদ প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়। আর তা দেখেই বিক্ষোভ, অবরোধ, প্রতিবাদ শুরু হয় জেলায় জেলায়। এমনকী একাধিক নেতা, মন্ত্রীরা তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দেন দলের উপরতলায়। তখনই পার্থবাবু ঘোষণা করেন, ‘এআইটিসি’র সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ওই তালিকা সঠিক নয়। কারণ সেখানে নেতৃত্বের কোনও স্বাক্ষর নেই। স্বাক্ষর–সহ তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।’
কেন পিকে’র সঙ্গে কথা কাটাকাটি? এই পরিস্থিতিতে রাতে আবার সুব্রত বক্সী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই করা ‘ঠিক’ প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে কিছু রদবদলও লক্ষ্য করা যায়। সূত্রের খবর, দলের অফিশিয়াল সামাজিক মাধ্যমগুলি দেখভাল করে থাকেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। কারণ এই বিষয়ে তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই কিভাবে এমন কাজ হল তা নিয়ে আইপ্যাকের প্রাক্তন কর্ণধার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পার্থবাবুর টেলিফোনে একাধিকবার কথা কাটাকাটি হয়।
উল্লেখ্য, এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়া পর ক্ষোভ উগড়ে দেন দমদমের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক–মন্ত্রী অখিল গিরি এবং অন্যান্যরা। তখন দ্রুত ‘ঠিক’ তালিকা প্রকাশে উদ্যোগী হন পার্থবাবুরা। তারপর জেলায় জেলায় সেই তালিকা যেতে শুরু করে। অখিল গিরি বলেন, ‘আমাদের পাঠানো তালিকা দল গ্রহণ করেনি।’ বিধায়ক দুলাল দাসের নাম রিভিউ করা হবে বলে জানান পার্থবাবু।