তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কুর্সিতে বসানোর পেছনে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের হাতযশ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। বরং তিনি দাবি করেছিলেন, বিজেপি ১০০ আসন পাবে না। দুই অঙ্ক পার করতে পারবে না। যদি পারে তাহলে তিনি এই পেশা ছেড়ে দেবেন। অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। তারপর অবশ্য আইপ্যাক ছেড়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়, প্রশান্ত কিশোর এবার সরাসরি রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন।
রাজনীতির কারবারিরা বলতে শুরু করেছিলেন, এবার প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভার সদস্য করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাই হবে তাঁর শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হবেন। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার আইপ্যাকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যে। আর এটা কল্পনাপ্রসূত। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আর প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাতে অনেকে রুষ্ট হয়েছিলেন। দল ছেড়ে পর্যন্ত চলে গিয়েছেন বহু নেতা। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর নিজের অবস্থানে অটল, অনড় ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন। আর বিজেপির আক্রমণকে ঠেকিয়েছেন নিজস্ব বুদ্ধি ও কৌশল দিয়ে। তারপর বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত যুদ্ধ জয়ের সাক্ষী। তাই প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভায় পাঠানোর খবর চাউর হয়েছিল। যা সত্য নয়।