টেট পরীক্ষায় পাস করার পরেও এখনও চাকরি জোটেনি অনেকের। এনিয়ে ধরনা, বিক্ষোভ ক্রমাগত চলছে। তবে তার মধ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দিচ্ছে পর্ষদ। সূত্রের খবর, পুজোর পরই রাজ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এখানেই প্রশ্ন কারা এবার আবেদন করতে পারবেন? টেট পাস করে যারা চাকরি পাওয়ার জন্য় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাঁরা কী আদৌ চাকরি পাবেন? নতুন করে কী আবেদনপত্র নেওয়া হবে? তবে পর্ষদ সূত্রে খবর পুজোর আগে টেট নেওয়া যাচ্ছে না। পুজোর পরে টেট নেওয়া যেতে পারে।
সূত্রের খবর, নতুন চাকরিপ্রার্থীরা যাতে এবার চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন ও চাকরি পেতে পারেন সেব্যাপারে উদ্যোগ নেবে পর্ষদ। পাশাপাশি যাঁদের বয়স চল্লিশের মধ্যে ও যাঁরা টেট পাস করেছেন তাঁদেরও সুযোগ থাকবে। তবে গোটা প্রক্রিয়াতেই যাতে পুরোমাত্রায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেটা নিশ্চিত করাটাই এখন পর্ষদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ করার পরে পর্ষদ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন গৌতম পাল। তিনি চেয়ারে বসে স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়েছিলেন। প্রতিবছর টেট হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে কি এবার কথা রাখতে চলেছে পর্ষদ?
তবে পর্ষদের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে চাকরীপ্রার্থীরা নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। কিন্তু তবুও প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে আগের জটগুলি না কাটানো হলে আদৌ কি পরীক্ষা নেওয়ার দিকে এগোতে পারবে পর্ষদ? সেই জট কাটিয়ে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা নেওয়া, প্রকৃত যোগ্য যারা তাঁদের চাকরি দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করাটাই এখন পর্ষদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।