প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধার করতে অন্য সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সাফ জানিয়েছেন যে প্রয়োজনে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) বা উইপ্রোর মতো ভারতের প্রথমসারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে সেই দায়িত্ব দিতে পারে সিবিআই। শুধু টিসিএস বা উইপ্রো নয়, সিবিআই যদি চায়, তাহলে বিশ্বের যে কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে সেই কাজের দায়িত্ব দিতে পারে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। আর সেটার যাবতীয় খরচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দিতে হবে।
আজ হাইকোর্টে কী হয়েছে?
শুক্রবার হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির ওএমআর সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় সিবিআই জানায়, বিচারপতি মান্থা যে তথ্য জমা দিতে বলেছিলেন, সেটা দিতে পারছে না। আসলে গত মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কোন হার্ডডিস্কে বা কোন অরিজিনাল সার্ভারে ওএমআর শিটের ডিজিটাল কপি রাখা হয়েছিল, সেটা জানাতে হবে সিবিআইকে।
'প্রাথমিক মামলায় OMR শিটের তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ'
সেই পরিস্থিতিতে বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, টিসিএস বা উইপ্রোর মতো ভারতের প্রথমসারির কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অথবা বিশ্বের প্রথমসারির যে কোনও সংস্থাকে নিয়োগ করে কোন হার্ডডিস্কে বা কোন অরিজিনাল সার্ভারে ডিজিটাল ওএমআর শিটের ডিজিটাল কপি রাখা হয়েছিল, সেটা খুঁজে বের করুক সিবিআই। কারণ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে মামলা চলছে, তাতে ওএমআর শিটের তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিস্থিতিতে যেভাবে হোক ওএমআর শিটের তথ্য খুঁজে বের করতে হবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা।
OMR শিট নিয়ে প্রাথমিক পর্ষদ কী বলেছিল?
হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল যে ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্ক্যান করে ওএমআর শিটের ডিজিটাল ভার্সন সংরক্ষণ করা আছে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল।
কোন সংস্থার হাতে সেই দায়িত্ব ছিল?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, ওএমআর শিট মূল্যায়নের কাজ করেছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। ওই সংস্থাই স্ক্যান করে ওএমআর শিটের ডিজিটাল ভার্সন সংরক্ষণ করে রেখেছিল বলে দাবি করেছিল পর্ষদ।