৮২ পেলেই ২০২২-এর নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালে সংরক্ষিত বিভাগের টেট উত্তীর্ণরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়ের ওপর হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ। বুধবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো ৮২ পেলেই ২০২২-এর প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন সংরক্ষিত আসনে টেট উত্তীর্ণরা।
২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট হয়েছিল ১৫০ নম্বরের। NCTE-র নির্দেশিকা অনুসারে টেট উত্তীর্ণ হতে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। সেই মতো ৮৩ পেলে টেট উত্তীর্ণ হওয়ার কথা। কিন্তু পরীক্ষায় যারা ৮২ পেয়েছিলেন তাদেরও টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করতে হবে এই দাবি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। কারণ ৮২ পেলে শতাংশের নিরিখে প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়ায় ৫৪.৬৭ শতাংশ। দশমিকের পরের সংখ্যা অগ্রাহ্য করলে তা ৫৫ শতাংশের সমান। এই মামলায় ৮২ পাওয়া প্রার্থীদেরও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি প্রার্থীদের আরেকটি অংশ। সেই মামলার শুনানিতে ২ বিচারপতি ভিন্নমত পোষণ করেন। এর পর তৃতীয় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে যায় মামলা। সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
সেই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য বুধবার জানিয়েছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখনই হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। ৮২ পেলেই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করতে হবে।
আইনজ্ঞদের মতে, এখনও পর্যন্ত ৩ জন বিচারপতি মামলার শুনানি করেছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্য। যাদের মধ্যে ২ জন ৮২ নম্বর প্রাপকদের সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেছেন। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলার শুনানি এখনো বাকি। এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির রায় ৮২ নম্বর প্রাপকদের পক্ষে থাকায় স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করল তৃতীয় বেঞ্চ।