আদালতের নির্দেশে কয়েকদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের ফলাফল। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত সেই তালিকা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুললেন মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক পদে যে ২৬৮ জনের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬৩ জনের নাম কোনও তালিকায় নেই। এই আবহে এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত।
এদিকে মামলাকারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের বক্তব্য, ‘বিষয়টি বিচারাধীন। তাই বিতর্কিত প্রার্থীদের নাম রাখা হয়নি।’ যদিও তাঁর এই যুক্তি মানতে নারাজ মামলাকারীরা। তাঁদের পালটা যুক্তি, তাহলে নিয়োগ বিতর্কে জড়ানো বাকি চাকরিপ্রার্থীদের নাম কীভাবে তালিকায় রয়েছে। এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য মুখ খোলেননি গৌতম পাল।
এদিকে বিতর্কিত ২৬৮ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যাদের নাম তালিকায় রয়েছে, তাদের নিয়ে মামলাকীরেদর প্রশ্ন, অনেকেই ১৫০-তে ৮২ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন বলে দেখানো হয়েছে তালিকায়। তবে ৮২ নম্বর পেয়ে পাশ করা সংক্রান্ত নির্দেশটি কলকাতা হাই কোর্ট সদ্য জারি করেছে। তাহলে কীভাবে আগেই সেই নম্বর পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা পাশ করে গিয়েছিলেন পর্ষদের তালিকায়?
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন উঠেছিল ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়ে। এই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে পরে তাদের মধ্যে একজন বৈধ নথি জমা দিয়ে চাকরি ফিরে পেয়েছিলেন। বাকিরা চাকরি ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি বাতিলের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয়। বর্তমানে মামলাটি শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ফের ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।