প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সোমবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন প্রাথমিকে ৩৯২৯টি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়োগপক্রিয়া শেষ করে ১১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতকে রিপোর্ট দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে। এই খবরে খুশির হাওয়া যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে ২০২০ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় এখনো কেন ৩৯২৯টি শূন্যপদ পূরণ বাকি ছিল? তবে এই পদগুলিতেও কি টাকার বিনিময়ে নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের?
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের দায়ের করা এক মামলায় এদিন বিচারপতি ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর আগে সংসদের তরফে জানানো হয়েছিল ১৬,৫০০টি শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু মামলা চলাকালীন দেখা যায় এখনো ৩৯২৯টি শূন্যপদে কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। এর পরই ওই পদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানান চাকরিপ্রার্থীরা।
বিজেপি কাউন্সিলরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ফোন, পুলিশের দ্বারস্থ নেত্রী
এদিন সেই মামলার রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অবিলম্বে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছেন। সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, মেধাতালিকায় মামলাকারীদের স্থান খতিয়ে দেখে তাদের নিয়োগ দিতে হবে। ১১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে নিয়োগপ্রক্রিয়া। ওই দিন আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে নির্দেশ মেনে নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে কি না।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ২০২০ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বড় শূন্যপদের বড় একটা অংশ অপূর্ণ থেকে গেল কেন? বিশেষ করে যখন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। তবে এই এই শূন্যপদগুলিও সময় সুযোগ মতো বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, পার্থ, শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশদের?
এদিন প্রাথমিকে আরও ৬৫ জনকে পুজোর আগে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে বাড়তি নম্বর না দেওয়ায় ২০১৬ ও ২০২০ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি এই প্রার্থীরা।