নিজের সম্পত্তির পরিমাণ কত? স্ত্রী কত সম্পত্তির মালিক? পুত্র এবং পুত্রবধূর নামে কত সম্পত্তি আছে? বিয়ের আগে পর্যন্ত মেয়ের নামে কত সম্পত্তি ছিল? দুই সপ্তাহের (৫ জুলাই) মধ্যে পুরো পরিবারের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তথ্য দিতে হবে। টেট মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
উচ্চতর আদালতের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টে হাজিরা দেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক। দুপুর আড়াইটে নাগাদ শুনানি পর্বের শুরুতে তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনি বিধানসভার সদস্য হওয়ায় কাঠগড়ায় তুলছি না।’ তারপরই পর্ষদের সদ্য অপসারিত সভাপতির থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়। পেশাগত যোগ্যতা, সম্পত্তির পরিমাণ-সহ সবমিলিয়ে ২৮ টি প্রশ্নের মুখে পড়েন মানিক।
সেইসঙ্গে আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে মানিকের পুরো পরিবারের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হলফনামা আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মানিকের স্ত্রী, ছেলে এবং বউমা কত সম্পত্তির মালিক, তাও জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, বিয়ের আগে পর্যন্ত মানিকের মেয়ের নামে কত সম্পত্তি ছিল, তাও বিস্তারিতভাবে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে কড়া ভাষায় হাইকোর্ট জানিয়েছে, সেই হিসাব দেওযার পর মানিক পরবর্তীতে আর দাবি করতে পারবেন না যে তিনি কোনও সম্পত্তির তথ্য দেননি।
প্রাথমিক টেটে অনিয়ম
২০১৪ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরের বছর ১১ অক্টোবর টেট হয়েছিল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন রমেশ আলি। তিনি দাবি করেন, দুর্নীতির জন্য দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।