প্রাথমিক টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতের নির্দেশে সোমবার বিকেলে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছে সংসদের সভাপতি ও সচিব। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে জেরা করে তদন্তকারীরা খুশি নন বলে সিবিআই সূত্রের খবর। গোয়েন্দাসূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তাঁরা।
সোমবার ২০১৪ প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। জানান, বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে হবে সিবিআইকে। ওই সময়ের মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও সচিবকে। SSC মামলার পরিণতি দেখে এবার আর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখায়নি সরকার।
বিকেল ৫.২৫ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন মানিক ভট্টাচার্য ও রত্না চক্রবর্তী বাগচী। কিন্তু তখনও সিবিআইয়ের কাছে পৌঁছয়নি আদালতের নির্দেশ। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও নির্দেশ না পৌঁছনোয় পুরনো একটি মামলার ভিত্তিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁদের।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও সচিবকে জেরা করে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাদের নির্দেশে নিয়োগে এই ব্যাপক কারচুপি তা বলেননি তাঁরা। বার বার প্রশ্নের উত্তর এড়িয়েছেন। এমনকী কোন কোন নেতার নির্দেশে বেআইনি নিয়োগগুলি হয়েছে তা নিয়েও মুখ খোলেননি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও সচিব। প্রথম দিন তাদের রেহাই দিলেও তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে ফের তাদের তলব করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই।