প্রাথমিক টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত আরেকটি মামলায় ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আবেদনকারীরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হলেও সরকারি বঞ্চনার শিকার বলে জানিয়েছে আদালত। অবিলম্বে পদ্ধতি মেনে এদের নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে টেটে অল্পের জন্য তাঁরা উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কিন্তু পরীক্ষার পর দেখা যায় প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই প্রশ্নে নম্বর দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন একদল পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালে সেই মামলার রায়ে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রতিটি ভুল প্রশ্নের জন্য প্রত্যেককে ১ নম্বর করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মামলাকারীদের অভিযোগ, সেই নম্বর তারা পেয়েছেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। ওই নম্বর পাওয়ায় টেট উত্তীর্ণ হন তাঁরা। এর ফলে ২০১৮ ও ২০২০- সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় তারা যোগদান করতে পারেননি।
এই ধরণের আরও কয়েকটি মামলায় এখনো পর্যন্ত ২৫০ জনকে পুজোর আগে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, মামলাকারীরা ২০১৬ সাল থেকে বঞ্চিত। ফলে তাদের দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে ১৮৫ জন যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।