প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলাকারী সৌমেন নন্দীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। রবিবার সিবিআইয়েক তলবে নিজাম প্যালেসে গোয়েন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন সৌমেনবাবু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। সূত্রের খবর, সিবিআইকে তিনি জানিয়েছেন, শুধু সাদা খাতা জমা দিয়েই নয়, ভুল উত্তর লিখেও চাকরি পেয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। খাতায় সংকেত হিসাবে ব্যবহার হয়েছে ওই ভুল উত্তর।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ টেটের নিয়োগে একাধিক বেনিয়ম হয়েছে। উপেন বিশ্বাসের উল্লেখ করা রঞ্জনের মতো একাধিক ব্যক্তির হাত ধরে হয়েছে এই বেনিয়ম। যার মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কয়েকজন আধিকারিকও। মামলাকারীর দাবি, ২০১৪ টেটে এমন ৮৭ জন চাকরি পেয়েছেন যারা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
রবিবার সৌমেনবাবুকে প্রায় ৩ ঘণ্টা জেরা করেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের তিনি জানিয়েছেন, শুধু সাদা খাতা জমা দিয়েই নয়, ইচ্ছা করে ভুল উত্তর লিখেও চাকরি পেয়েছেন অনেকে। সৌমেনবাবুর দাবি, ভুল উত্তরগুলি ছিল আসলে সাংকেতিক বার্তা। ১০ – ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেই সংকেত জানাতেন রঞ্জনরা। পরীক্ষার খাতায় নির্দিষ্ট দাগ নম্বরের উত্তরে ওই নির্দিষ্ট ভুল উত্তর লিখে আসতে পারলেই চাকরি পাকা। এর পিছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
২০১৪ সালের টেটে বেআইনিভাবে অতিরিক্ত প্যানেল তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। গোয়েন্দাদের দাবি, ফেল করা পরীক্ষার্থীদের দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সেই প্যানেল। এমনকী ওই টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৭ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কতজন উত্তীর্ণ হয়েছে তার সংখ্যাও জানায়নি রাজ্য সরকার।