আজ শনিবার ১০ দিনে পড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অনশন। তারপরও কাটছে না জট। ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে মেডিক্যালের পরিস্থিতি। শুক্রবার পড়ুয়াদের সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু, কর্তৃপক্ষকে পড়ুয়াদের আক্রমণে কার্যত ভেস্তে গিয়েছে বৈঠক। তারপরেই মেডিক্যাল কলেজে না গিয়ে স্বাস্থ্যভবনে বসেই যাবতীয় কাজকর্ম করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ। তাতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
পড়ুয়ারা আগেই শনিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি গণ কনভেনশনের ডাক দিয়েছিল। সেই মতোই আজ সেখানে গণ কনভেনশন হওয়ার কথা রয়েছে। পড়ুয়াদের সমর্থনে অনেকেই গণ কনভেনশনে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, পড়ুয়াদের অনশনে শুক্রবার আর একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পড়ুয়াদের ব্যবহারে আপাতত ক্ষুব্ধ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে পড়ুয়ারা আক্রমণ করে বলেছিলেন, ‘আপনারা শুধু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে থাকেন। আপনারা দিন ঠিক করছেন আর তাঁরা সেই দিন বাতিল করছে। আপনাদের চেয়ারে বসার যোগ্যতাই নেই।’ এরপরে বৈঠক ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, এই ধরনের আলোচনা অর্থহীন। তাঁরা জানান, পড়ুয়ারা তাঁদের সন্তানসম। তাই তাঁরা সমস্যা মেটাতে উদ্যোগে হয়েছিলেন। কিন্তু, পড়ুয়াদের কাছ থেকে তাঁরা মোটেই এরকম আশা করেননি। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি আরও জটিল হল। পড়ুয়াদের স্পষ্ট দাবি, ২২ ডিসেম্বরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে। আবার নবান্ন থেকেও নির্বাচনের বিষয়ে এখনও কোনও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। যার ফলে অধরাই রয়েছে সমাধান।