বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Blackmail: প্রেসিডেন্সি জেলে বসেই প্রাক্তন প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ, কে করল এই কাজ?‌

Blackmail: প্রেসিডেন্সি জেলে বসেই প্রাক্তন প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ, কে করল এই কাজ?‌

প্রেসিডেন্সি জেলে থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল।

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের রাতে পার্ক স্ট্রিটে এক পাঁচতারা হোটেলের নাইট ক্লাব থেকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করা হয় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান এক মহিলাকে। সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কাদের খান। ঘটনার পর মুম্বই পালিয়ে গিয়েছিল কাদের। পরে নেপাল, বাংলাদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক জায়গায় গা–ঢাকা দিয়েছিল।

প্রেসিডেন্সি জেলে থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল। আর যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সে হল পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত কাদের খান। অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্রের খবর। এই খবর প্রকাশ্যে আসে যখন রাজ্যের এক কারাকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পার্ক স্ট্রিটের এক প্রতিষ্ঠিত বস্ত্র ব্যবসায়ী। পুলিশ গোটা বিষয়টি গোপন রেখেছে। তাই এই ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তাহলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী অভিযোগ করা হয়েছে?‌ ওই ব্যবসায়ী অভিযোগপত্রে লিখেছেন, ‘অক্টোবর মাসে হঠাৎ জেল থেকে আমার মেয়ের মোবাইলে ফোন আসে। ওই ব্যক্তি নিজেকে কাদের বলে পরিচয় দেয়। তারপর মোটা টাকা তোলা দাবি করে। এমনকী হুমকি দেওয়া হয়, টাকা না পেলে আমার মেয়ের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে। একটা সময় আমার একমাত্র মেয়ের সঙ্গে কাদেরের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সময়ের কিছু ছবি এখনও ওর কাছে রয়েছে।’ আর সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি হাতিয়ার করে কাদের তাঁর মেয়েকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করছেন বলে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ। এই অভিযোগপত্রের একদম শেষে কাদেরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক বলে কারা দফতরকে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে লালবাজারকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

ঠিক কী কী প্রশ্ন উঠছে?‌ প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে এই ধরনের ফোন করা সম্ভব হল?‌ পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের মতো স্পর্শকাতর মামলার মূল অভিযুক্ত তথা বিচারাধীন বন্দির সেলে বাড়তি নজরদারি কি তাহলে ছিল না? কেন এমন ফোন করা হল?‌ নিজের পরিচয় দিয়ে ফোন শুধুই কী তোলাবাজির জন্য?‌ তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ। আলোড়ন পড়েছে কারা দফতরে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের রাতে পার্ক স্ট্রিটে এক পাঁচতারা হোটেলের নাইট ক্লাব থেকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করা হয় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান এক মহিলাকে। সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কাদের খান। ঘটনার পর মুম্বই পালিয়ে গিয়েছিল কাদের। পরে নেপাল, বাংলাদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক জায়গায় গা–ঢাকা দিয়েছিল। এই ঘটনার চার বছর পর কলকাতা পুলিশের তৎকালীন ডিসি (সাউথ) মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টিম নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে কাদের খানকে। তারপর থেকেই কাদের বন্দি প্রেসিডেন্সি জেলে।

বন্ধ করুন