পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন এসএসকেএমে। এরপর তিনি ভর্তি হন বেসরকারি হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু কেমন আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে খবর। এরপর ২০ জানুয়ারি তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আদালতে পার্থ দাবি করেছিলেন সরকারি এই হাসপাতালে তিনি ঠিক সুস্থ হতে পারছেন না। তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির ছাড়পত্র চেয়েছিলেন তিনি। এরপর আদালত তাকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির ছাড়পত্র দেয়।
সেই মতো তিনি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। গত ২৮ জানুয়ারি তিনি ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন। কিন্তু কেমন আছেন তিনি?
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছিলেন। সেই মতো পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।
সেই রিপোর্ট জমা দিয়ে চিকিৎসক জানিয়ে দেন, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। দিন দুয়েকের মধ্যে ছাড়া হবে। এবার প্রশ্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে কি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় সরাসরি প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরত যাবেন নাকি তিনি ফের এসএসকেএমে চলে যাবেন তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।
এর আগে যখন তিনি এসএসকেএমে ভর্তি ছিলেন তখনও তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল সেটা জানা যায়।
সেই সময় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কার্ডিওলজিতে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছিল। রক্ত দিতে হয়েছিল বলে খবর। পায়ের ফোলা ভাবটা কিছুটা কমেছিল। তবে সূত্রের খবর, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা তখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
অক্সিজেন দিতে হয়েছিল পার্থকে। একাধিক টেস্ট করা হয়েছে। এসএসকেএমেই চিকিৎসা চলছিল সেই সময়। তবে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার বিষয়টি দেখা হচ্ছিল। পালস রেটও কিছুটা এদিক ওদিক ছিল।
সরকারি হাসপাতালে ভর্তির সময় দেখা গিয়েছিল পার্থর সোডিয়াম- পটাশিয়ামেরও কিছুটা সমস্যা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাইয়ে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরবর্তীতে তাঁকে সিবিআইও গ্রেফতার করেছিল। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি।
কিছুদিন আগে সংশোধনাগারের মধ্য়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর প্যানিক অ্য়াটাক হয়েছিল। এরপর প্রথমে সরকারি হাসপাতালে ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।