রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় সুবিধার জন্য অ্যাডভাইসরি জারি করলেও অনেক হাসপাতাল তা মানছে না। যার ফলস্বরূপ বেসরকারি হাসপাতালে মোটা অঙ্কের বিল মেটাতে হচ্ছে রোগীদের। একটি ঘটনায় চিকিৎসা খরচ বাবদ রোগীর পরিবারকে ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা বিল ধরিয়েছে আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতাল। এই হাসপাতলে কেন চিকিৎসা খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে? তার জন্য পরিদর্শন পাঠাবে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।
স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে খবর, গত ২৪ জনুয়ারি বিহারের বাসিন্দা নবীজান বিবিকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন তার স্বামী ইমাম হুসেন। তিনি ১০ মার্চ পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন। রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার সময় হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় তার ওই পরিমাণ বিল হয়েছে। তিনি সমস্ত টাকা অবশ্য দিতে পারেননি, শুধু পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকি টাকা বকেয়া রাখেন। এরপর মুচলেকা দিয়ে স্ত্রীকে ডিসচার্জ করিয়ে বাড়ি নিয়ে যান। এরপরই তিনি রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন।
কমিশনের চেয়ারম্যান তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন খাতে বেশি খরচ নিয়েছে ওই হাসপাতাল। সেখানে কোনও রকম অ্যাডভাইরি মানা হয়নি। সেই কারণে বকেয়া ১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৬ লক্ষ টাকা রোগীর পরিবার কিস্তিতে মেটাতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। কমিশনে এর আগেও এ ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছিল ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে হাসপাতালকে। তারপরেও তারা নির্দেশ কেন মানছে না তা খতিয়ে দেখতে ওই হাসপাতলে ইনস্পেকশন টিম পাঠানো হবে। পাশাপাশি বিলও খতিয়ে দেখা হবে।