করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক বিল ধরানোর অভিযোগ উঠছে। যার জেরে বিপাকে পড়ছে রোগীর পরিবার। করোনার চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। এই সমস্যার সমাধানে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা রোগী ভর্তির সময় সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা নিতে পারবে তারা। সেই টাকাও জোগাড় করতে অন্তত ১২ ঘণ্টা সময় দিতে রোগীর পরিবারকে।
কমিশনের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রোগী ভর্তির সময় চিকিৎসার জন্য মোট আনুমানিক খরচের ২০ শতাংশ নিতে পারবে হাসপাতাল। সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা নিতে পারবে তারা। এছড়া ওই টাকা জোগাড় করার জন্য রোগীর পরিবারকে ১২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে টাকা জমা দিতে না পারলে ১ ঘণ্টা সময় দিয়ে রোগীকে ছেড়ে দিতে পারবে হাসপাতাল।
রোগীর কোনও পরীক্ষার খরচ ২,০০০ টাকা বা তার বেশি হলে তার লিখিত অনুমতি নিতে হবে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে। কেন সেই পরীক্ষা করা প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করতে হবে তাঁদের। তবে জরুরি পরিস্থিতিতে এই নির্দেশ মানা বাধ্যতামূলক নয়।
হাসপাতালে রোজ রোগীর জন্য কত টাকা খরচ হচ্ছে তা এসএমএস-এ জানাতে হবে নিকট আত্মীয়কে। হাসপাতালের বিল মেটাতে হবে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। নগদে বিল নেওয়ার প্রবণতা ছাড়তে হবে।