এবার সরাসরি বিজেপির প্রতিহিংসার কথা তুলে ধরলেন ফিরহাদ হাকিমের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্টার্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। এই পরিস্থিতিতে বাবা জেলবন্দি থাকায় সকাল থেকে কাজ সামলেছেন ফিরহাদের বড় মেয়ে। প্রিয়দর্শিনী হাকিম বলেন, ‘যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেননি শুধুই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবাকেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।’ একুশের নির্বাচনের আগেই সেই চাপ এসেছিল বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী অভিযোগ করেছেন প্রিয়দর্শিনী? এদিন তিনি বলেন, ‘সিবিআই বিজেপির তোতাপাখি। বিজেপিতে যোগ দিলে তুমি গ্রেফতার হবে না। না–হলে জেলে থাকবে। আমার বাবাকেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। বাবা বিজেপিতে যোগ না দেওয়ায় সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে। যাঁরা আজ বিজেপিতে যায়নি তাঁদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁরা গেছেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি।’ এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ফিরহাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম।
এই অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ফিরহাদ হাকিমকে ফোনটি কে করেছিল? কেন এমন হুমকি দেওয়া হল? প্রিয়দর্শিনীর অভিযোগ কী সঠিক? সোমবারও প্রিয়দর্শিনী অভিযোগ করেছিলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ষড়যন্ত্র। গণতান্ত্রিকভাবে বাংলায় নির্বাচনে জিততে না পেরে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাদের গ্রেফতার করছে। আর রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে রাষ্ট্রপতি শাসনের ফাঁদ তৈরি করছে।
প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে ফিরহাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আইনের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্তি পাব। বিজেপি, ইডি, সিবিআই সব কিনে নিতে পারে। কিন্তু দেশের আইন মুখ বন্ধ করে থাকবে না। আইনের মধ্যে দিয়ে আমরা ন্যায়বিচার পাব। পপুলার হওয়াটা কোনও অন্যায় নয়, আমি পপুলার। তাই হাজার হাজার মানুষ আমার সমর্থনে এসেছে। আমি সিবিআইকে সহযোগিতা করেছি, ভাল ব্যবহার করেছি। তাহলে আমার দোষ কোথায়? আমি জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।’