গতবছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ঙ্কর র্যাগিংয়ের জেরে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দোষীদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার র্যাগিংয়ে নিহত ছাত্রের নামে পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও পড়ুয়ার র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যদিও মৃত ছাত্রের পরিবার এতে সন্তুষ্ট নন। তাদের বক্তব্য, পুরস্কার চালুর বদলে অন্য কিছু করা যেতে পারত।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরেই ছাত্রমৃত্যু ঘটে, শাস্তিতে সিলমোহর
শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। সেই প্রস্তাবই গৃহীত হয়েছে ইসির বৈঠকে। ইসির সমস্ত সদস্য এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেছেন। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। তারপরে একে একে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
ছাত্রের মৃত্যুর পরে নিহত ছাত্রের জন্য কি করা যায়? তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্র ছাত্রের নামে স্মৃতিসৌধ করা, হস্টেলের নাম রাখা অথবা পুরস্কার চালুর বিষয় আলোচনা হয়েছে। তার ভিত্তিতে শুক্রবার ইসি বৈঠকে উপাচার্য নিহত ছাত্রের নামে পুরস্কার চালু করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে সকলে সহমত জানান।
উপাচার্যের প্রস্তাব অনুযায়ী, যে পড়ুয়া র্যাগিং ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য, কোনওভাবেই র্যাগিংকে বরদাস্ত করা হবে না। এই পুরস্কার চালু করে প্রাণ হারানো পড়ুয়াকে সারা জীবন মনে রাখা হবে। এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা মৃত ছাত্রের পরিবারকে জানানো হয়েছে। তবে এই পুরস্কারের বিষয়ে সন্তুষ্ট নন মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। মৃত ছাত্রের পরিবারের বক্তব্য, তাদের সন্তানের স্মৃতিতে যদি ওই মৃত্যুর দিনটিকে অ্যান্টি র্যাগিং দিবস হিসেবে পালন করা হতো অথবা তাঁর নামে স্মৃতিসৌধ করা হত তাহলে অনেক ভালো হত।