বিধান পরিষদের প্রস্তাব পাশ নিয়ে বিধানসভায় ভোটাভুটি। দুই তৃতীয়াংশ ভোটে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাস। সমাজের বিভিন্নস্তরের প্রতিনিধিত্বকে সুনিশ্চিত করতে এই বিশেষ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে শাসক দল। এদিকে বিধান পরিষদের গঠনের বিরোধিতা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের পালটা দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যেও বিধান পরিষদ গঠনের নজির রয়েছে। সূত্রের খবর ভোটাভুটিতে সরকারপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৬জন বিধায়ক। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ৬৯জন বিধায়ক। বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন ২৬৫জন বিধায়ক। এদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিধান পরিষদ কি সংবিধান বিরুদ্ধ? তাহলে কেন আপত্তি? বিজেপি শাসিত রাজ্যেও বিধান পরিষদ রয়েছে? তাহলে বাংলায় কেন আপত্তি?
এদিকে নিয়ম অনুসারে বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সীলমোহর দরকার। পাশাপাশি সেখানে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকে ঘুরে রাজ্য ও লোকসভা দুটি কক্ষেই প্রস্তাবটি পাশ হতে হবে। এরপর সর্বশেষ পদক্ষের অনুসারে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর প্রয়োজন। তারপর এটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হবে। এদিকে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে ১৯৫২ সালের ৫ই জুন ৫১জন সদস্যকে নিয়ে বাংলাতেও বিধান পরিষদ গঠিত হয়েছিল। তবে ১৯৬৯ সালের ২১শে মার্চ। বিধান পরিষদকে অবলুপ্ত করে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে রাজ্যের যাবতীয় শাসনকাজ কেবলমাত্র বিধানসভার মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে। বিধান পরিষদের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। তবে বাম জমানার শেষে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে বিধান পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে এবার ফের সেই বিধান পরিযদ গঠনের জন্য তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এদিন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বিধান পরিযদ গঠনের ক্ষেত্রে আপত্তি তোলেন। একদিকে বিপুল খরচ ও অন্যদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর কেন ভরসা নেই সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।