ভয়াবহ সমস্য়ার মুখে মা উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াতকারীরা। সেতুর যে অংশে ফেন্সিং লাগানো আছে সেখানে চিনা মাঞ্জার উৎপাত আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কিন্তু অন্যান্য অংশগুলিতে এখনও যে কোনও দিন বাইক চালকরা চিনা মাঞ্জার কবলে পড়তে পারেন। একাধিক বাইক চালক এই রাস্তায় বাইক নিয়ে যেতে গিয়ে চিনা মাঞ্জায় আটকে মারাত্মক দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছিলেন। নানাভাবে চিনা মাঞ্জা আটকানোর চেষ্টা করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু কাজের কাজ বিশেষ কিছু হয়নি। সমস্যা মেটানোর পথ খুঁজতে শুরু করে কলকাতা পুলিশ। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মার্চ ও জুলাই মাসে কেএমডিএর কাছে একটি বিশেষ প্রস্তাব দেয় কলকাতা পুলিশ। কী সেই প্রস্তাব?
গোটা সেতুটি তারজালি দিয়ে ঘিরে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতে হয়তো মাঞ্জার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে। এরপরই মা উড়ালপুলের বোট ক্লাব থেকে চার নম্বর সেতু পর্যন্ত সেতু ঘেরার কাজ শুরু হয়। ২০ লক্ষ টাকায় প্রায় ৯০০ মিটার এলাকায় তার জালি দিয়ে ঘেরা হয়। এদিকে লক্ষ্যণীয়ভাবে সেতুর ওই অংশে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। চিনা মাঞ্জায় জড়িয়ে গিয়ে বড় কোনও দুর্ঘটনাও হয়নি কয়েক মাসে। কিন্তু বাকি অংশের কী হবে? মূলত পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে পরমা আইল্যান্ড পর্যন্ত অংশটি পুলিশের কাছে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অংশটি ঘেরা না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এদিকে কেএমডিএ সূত্রে খবর, সেতু তারজালি দিয়ে ঘেরা হলে উড়ালপুলে কোনও ক্ষতি যাতে না হয় সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। সেকারণে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।