ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ করার অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল স্কটিশ চার্চ কলেজ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। ওই অধ্যাপককে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের এক অধ্যাপক গত কয়েক মাস ধরে কয়েকজন ছাত্রীকে অশালীন মেসেজ পাঠাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা করছেন। ঘনিষ্ঠ হতে রাজি হলে বিশেষ সুযোগ – সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি জানিয়ে বুধবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ছাত্রী। এর পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা।
এক ছাত্রী বলেন, গত মে - জুন মাস থেকে এটা শুরু হয়েছে। উনি কয়েকজন ছাত্রীকে লাগাতার অশালীন মেসেজ করে চলেছেন। তাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। প্রস্তাবে রাজি হলে বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেবেন বলে প্রলোভন দিচ্ছেন। বিষয়টা নিয়ে কলেজে অনেকদিন ধরেই কানাঘুষো চলছিল। কিন্তু বুধবার এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর গোটা বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। এর পর মেসেজগুলি হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কলকাতার বাইরে থেকে আসা গরিব ছাত্রীদের নিশানা করেন ওই অধ্যাপক। আর এই ছাত্রীরা লোকলজ্জার ভয়ে সহজে মুখ খুলতে চায় না।
বিক্ষোভকারীদের দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষ সব কিছু জেনেও চুপ করে বসে রয়েছে। অভিযুক্ত অধ্যাপককে রক্ষা করার চেষ্টা করছে তারা। অবিলম্বে অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।