রাজ্যে স্কুল খোলার দাবিতে এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালো অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধ্বস্তি বেঁধে যায়। রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবিভিপি সমর্থকরা। এর আগে এদিনই বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইও এই একই দাবিতে সরব হয়ে ওঠে।
স্কুল খোলার দাবিতে যখন মামলা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, তখন এই একই দাবিতে কলকাতার কলেজ স্ট্রিট চত্বর উত্তাল হয়ে উঠল। এদিন বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের পথ ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে পুলিশের কিছুটা বচসাও হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন পড়ুয়ারা। ফলে স্কুল খোলাটা একান্ত জরুরি। এদিন এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক সুরঞ্জন দাস জানান, ‘যতক্ষণ না স্কুল খোলা হচ্ছে, আমাদের এই আন্দোলন চলবে। রাজ্যে সবকিছু যখন খোলা হচ্ছে, তখন স্কুল খোলা হবে না কেন? রাজ্য সরকার এটা কেন বুঝতে পারছে না, স্কুল বন্ধ রাখার ফলে ছাত্রসমাজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
এদিন কলেজ স্ট্রিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদও। একের পর এক ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট চত্বর। মিছিল সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এদিকে এদিন সকালেই এই একই ইস্যুতে সরব হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে দিলীপজানান, ‘এখন পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। তাই ভয় কাটিয়ে মাস্ক পরে স্কুলে যাক পড়ুয়ারা।’