আগামী শনিবার থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরছেন। তবে আগের মতো সব পরিষেবা প্রদান করবেন না। আংশিকভাবে কাজে ফিরবেন। বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-র তরফে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যভবনের সামনে যে অবস্থান চলছে, তা শুক্রবার থেকে তুলে নেওয়া যাবে। শুক্রবার দুপুর তিনটেয় স্বাস্থ্যভবন থেকে সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করা হবে। তারপর আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ফিরে যাবেন। পরদিন থেকে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা প্রদানের কাজে যোগ দেবেন। কিন্তু রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটা পূরণ না করলে এবং থ্রেট কালচার নিয়ে তাঁদের দাবি মেনে না নিলে ফের পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেজন্য সাতদিনের ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন। তাঁদের হুঁশিয়ারি, ‘আমাদের নমনীয় মনোভাবকে যেন দুর্বলতা হিসেবে ভেবে না নেয় রাজ্য সরকার।’
কোন কোন পরিষেবা প্রদান করা হবে?
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম 'মুখ' দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন যে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিভাগ এবং প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ ভিত্তিক জরুরি পরিষেবা আলাদা হয়ে থাকে। শুক্রবারের মিছিলের পরে তাঁরা নিজেদের কলেজে ফিরে যাবেন।
বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি কলেজের ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) তৈরি করা হবে। ঠিক করা হবে যে কোন কোন জায়গাগুলি অত্যাবশ্যকীয়। ঠিক সেইসব কাজে ফিরবেন।ওপিডি পরিষেবায় জুনিয়র ডাক্তারদের এখনও কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন দেবাশিস।
কেন পুরোপুরি কাজে ফিরছেন না?
জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুক্রবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত যে নির্দেশিকা জারি করেছেন, তাতে বলা হয়েছে যে যত দ্রুত ওই ১০টি নিয়ম চালু করা হবে। কবে চালু করা হবে, তা নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের (সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলা) মধ্যে যদি রাজ্য সরকার সদর্থক পদক্ষেপ না করে এবং সেই নির্দেশিকা কার্যকর না হয়, তাহলে তাঁরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে নামতে পারেন। অর্থাৎ রাজ্য সরকারকে এক সপ্তাহের ‘আল্টিমেটাম’ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তবে RG করের তরুণীর বিচারের আন্দোলন চলবে
জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে অবস্থানে উঠে গেলেও এবং আংশিকভাবে কাজে ফিরলেও আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলবে। মিছিল হবে। নিজেদের-নিজেদের হাসপাতালে প্রতিবাদ চলবে। পূরণ করতে হবে তাঁদের সমস্ত দাবি। থ্রেট কালচারকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।