শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি। চলতি সপ্তাহে এই জেলে এসেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন পিএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দাশগুপ্ত। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর এই সাক্ষাৎকে ঘিরেই এখন খোঁজ নিতে শুরু করেছে ইডি–সিবিআই। কেন পিএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান দেখা করলেন পার্থর সঙ্গে? এই প্রশ্নই ভাবিয়ে তুলেছে।
কী করছে ইডি–সিবিআই? সূত্রের খবর, এই দীপঙ্কর দাশগুপ্তর সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সংবাদমাধ্যমে পিএসসির এই প্রাক্তন কর্তার প্রতিক্রিয়া, ‘আমি তো জেলে যাইনি’। আর কারা দফতর সূত্রে খবর, গত সোমবার বিকেল ৪টে থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত দীপঙ্করবাবু প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ছিলেন। তিনি পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। এমনকী জেলে এসে পার্থবাবুর সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। এই নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিং, সুবীরেশ ভট্টাচার্যরা। কিন্তু এঁদের কারও সঙ্গে তিনি দেখা করেননি বলেই খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? দীপঙ্করবাবুর সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর একান্তে কথা হয়েছে। তার মধ্যেই উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কয়েকদিন আগে শহরের একটি জায়গায় আলোচনায় বসেছিলেন কয়েকজন আইনজীবী। সেখানে মূলত এই মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেখানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীপঙ্কর দাশগুপ্ত। মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্যও পেশ করেন। তাহলে কী আইনজীবীদের পরামর্শই পৌঁছে দিলেন তিনি?
জেলবন্দির সঙ্গে দেখা করার নিয়ম কী? সংশোধনাগার সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী, জেলে কোনও বন্দির সঙ্গে দেখা করতে গেলে আবেদন করতে হয়। সেটা মঞ্জুর হলে অপেক্ষা করতে হয়। জাল দিয়ে ঘেরা জায়গায় দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ বন্দির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তাঁর পরিচিত বা বাড়ির সদস্যরা। আবার আদালতের নির্দেশ থাকলে তদন্তকারী অফিসাররা সেই নথি দেখিয়ে জেলের সুপার বা ডেপুটি সুপারের অফিসে অপেক্ষা করেন। সেখানে আনা হয় বন্দিকে। জেলকর্তাদের উপস্থিতিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়। একইভাবে আইনজীবীদেরও আবেদন করতে হয় সুপারের কাছে। এক্ষেত্রে কার সুপারিশে জেলখানায় প্রবেশ করেছিলেন পিএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান? উঠছে প্রশ্ন। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।