উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় এবার মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস।
আরও পড়ুন: খগেন মুর্মুর ওপর হামলার FIR-এ নাম ৮ জনের, এখনও গ্রেফতার ২, ধৃতদের পরিচয় গোপন পুলিশের
বৃহস্পতিবার অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলা উত্থাপন করা হলে বিচারপতি কৌশিক চন্দ ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি প্রদান করে। আদালত জানিয়েছে, অবকাশকালীন পরবর্তী যে দিন বেঞ্চ বসবে, সেদিনই এই মামলার প্রাথমিক শুনানি করা হবে। মামলাকারীর পক্ষ থেকে এনআইএ-র মাধ্যমে তদন্তেরও আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, খগেন মুর্মু আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি হওয়ায় জনজাতি আইনের প্রযোজ্য ধারায় মামলা রুজুর অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নাগরাকাটায় পৌঁছেছিলেন খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ। সেখানেই উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, পাথর, লাঠি ও জুতো হাতে কয়েকশো মানুষ তাঁদের উপর চড়াও হয়। নদী থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়ির দিকেও নিক্ষেপ করা হয়। হামলায় সাংসদ খগেন মুর্মুর বাঁ চোখের নীচে গুরুতর চোট লাগে এবং মুখে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও ধাক্কাধাক্কির জেরে হাতের চোট পান। দু’জনকেই দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শঙ্কর ঘোষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও খগেন মুর্মু এখনও চিকিৎসাধীন। এদিকে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন রয়ে গেছে এই হামলা পরিকল্পিত ছিল কি না। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে, যাতে গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হয়।