করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিয়েছিল। তা নিয়ে মামলা হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল, অর্থের ৭৫ শতাংশ খরচ করতে হবে করোনা উপলক্ষ্যে। অর্থাৎ, মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার ও ফেস–শিল্ড কেনার কাজে। আর বাকি ২৫ শতাংশ খরচ হবে সামাজিক ক্ষেত্রে। এমনকী টাকা খরচের হিসাবও জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। তারপরই আর একটি মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এবার পুজো মণ্ডপ থাকবে দর্শকশূন্য। রিভিউ আবেদনে সামান্য ছাড় মিললেও মণ্ডপে দর্শক প্রবেশ বন্ধ থাকবে। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে, যে ৭৫ শতাংশ টাকা দিয়ে এই মাস্ক–স্যানিটাইজার কেনা হবে তা দেওয়া হবে কাদের?
বেশিরভাগ পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, আদালতের নির্দেশ পালন করতে তাঁরা ইতিমধ্যেই সরকারি অনুদানের টাকায় মাস্ক–স্যানিটাইজ়ার কিনে ফেলেছেন। কিন্তু তা কাজে আসবে কিভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না। এমনকী সরকারি চেক পেলেও তা ভাঙাতে পারেনি, এমন পুজো কমিটিগুলি নিজস্ব তহবিল থেকে মাস্ক–স্যানিটাইজার কিনে ফেলেছে। কারণ, আদালতের নির্দেশ রয়েছে, খরচের হিসাব জমা দিতে হবে প্রশাসনের কাছে। এখন প্রশ্ন, মণ্ডপে দর্শক না এলে কাদের জন্য এই সুরক্ষা সামগ্রী?
বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির বক্তব্য, আগে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অনুদানের টাকার একটা বড় অংশ মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার কিনতে খরচ করতে হবে। বাকি টাকা খরচ করতে হবে সচেতনতামূলক প্রচারের কাজে। আমরা অনেক আগেই মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার কিনতে সেই টাকার একটা অংশ খরচ করে ফেলেছি। মণ্ডপের ১০ মিটার দূরে ব্যারিকেড করতে বলা হয়েছে। তাহলে এইসব জিনিস ব্যবহার হবে কি করে?
আবার একাংশ বলছেন, রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদানের চেক ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছি। কিন্তু টাকা এখনও অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। করোনা বিধি মেনে স্যানিটাইজার–মাস্ক সবই মজুত করা হয়েছে। এবার কী করব? আমরা বিভ্রান্ত। এখন জানি না, ওই সব জিনিসের কী হবে।