পাঁচতারা হোটেল লিজ নিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর খবর প্রকাশ্যে এল। পুণে, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই দেহ ব্যবসার চক্র চলত। সম্প্রতি বারাকপুরের এক তরুণীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সিআইডির হাতে এই তথ্য এসেছে। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত মহেন্দ্র ও বিজয়েন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, বারাকপুরের যে তরুণীকে উদ্ধারের জন্য সিআইডির এই অভিযান, সেই তরুণীকে কয়েক বছর আগেই কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় এক যুবকের সহয়তায় অন্য রাজ্যে কাজ করতে যায় ওই তরুণী। প্রথমে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে সেখানকার একটি হোটেলে কাজ দেওয়া হয়। এরপর ওই তরুণীকে পুণেতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তরুণীর পরিবারের লোকেরা তাদের বাড়ির মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এরপরই সিআইডির দ্বারস্থ হন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা।
তদন্তে নেমে সিআইডি আধিকারিকরা জানতে পারে, তরুণীকে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হয়েছিল। যে হোটেলে দেহ ব্যবসা চলত, সেই হোটেলটি লিজ নেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানতে পারে, এই দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, মুম্বাইয়ের দুই বাসিন্দা মহেন্দ্র ও বিজয়েন্দ্র। জানা যায়, শুধু পুনেতেই নয়, অন্য জায়গাতেও তাঁকে জোর করে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে নামানো হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারে, দেহ ব্যবসার কাজের সঙ্গে যুক্ত একাধিক দালাল রয়েছে, যারা রাজ্য জুড়ে রয়েছে। তাঁদের মাধ্যমে সুন্দরী মহিলাদের জোগাড় করে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।