ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড ভাঙা জয়ের পর ঐক্যবদ্ধ জোটের বার্তা তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য রাজ্য থেকেও এসেছিল শুভেচ্ছাবার্তা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হঠানোই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের লক্ষ্য। বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে এই লড়াই চলবে। এই পরিস্থিতিতে অধীর–কুণাল তরজায় সেই জোট প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। অধীরের স্পষ্ট অভিযোগ, ‘বিরোধী জোটকে পিছন থেকে কে ছোরা মারছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এই মন্তব্য আসার পরই পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিকে ভবানীপুরে মমতার রেকর্ড ভাঙা জয়ের পর সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর থেকে আসেনি কোনও শুভেচ্ছাবার্তা। অধীর চৌধুরীর দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে হাত ধরে নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বিরোধী জোটের পিছন থেকে ছোরা মারছেন কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার লাভ করছে? মোদীর।’
এরপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কংগ্রেস কি কচি খোকা নাকি? কংগ্রেসের কাউকে আয় বাবা কোলে আয় বলল, আর কোলে নিয়ে চলে এলো? আগে উনি (অধীর চৌধুরী) ঠিক করুন শূন্যে নামলেন কী করে। ওনারা দলটাকে শূন্যে নামিয়েছেন। আর যত কথা বলবেন, মহাশূন্যের দিকে এগোবেন। তৃণমূল কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীকে শ্রদ্ধা করে।’
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, কংগ্রেসকে তাঁরা অসম্মান করেন না। কিন্তু রাস্তায় নামতে হবে। ঘরে বসে থাকলে চলবে না। এবার কুণাল ঘোষ বললেন, ‘আমরা কংগ্রেসকে অসম্মান করছি না, বাদ দিয়ে জোটের কথা বলছি না। কিন্তু কংগ্রেসকে তো বুঝতে হবে, ২০১৪, ২০১৯ কেউ তো বাধা দেয়নি ওদের। তা হলে কংগ্রেসের মধ্যে কেন গন্ডগোল চলছে। এর সুবিধা তো বিজেপি পাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, এটা হতে দেওয়া যাবে না।’