চাকরির দাবিতে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের বক্তব্য, মেধাতালিকার নিচে থাকা সত্বেও অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। এর জন্য প্রার্থীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শান্তি প্রসাদ সিংহের বিরুদ্ধে। এই শান্তি প্রসাদ সিংহ একসময় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের গণিতের শিক্ষক ছিলেন। পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এখন তাঁর উত্থান নিয়ে উঠছে নানা ধরনের প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, যোগেশচন্দ্র কলেজের পরেই রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকার খাতিরে শান্তি প্রসাদ সিংহকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব হিসেবে নিয়োগ করে তৃণমূল। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে এসএসসির উপদেষ্টা করা হয়। গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত অবশ্য ওই পদে ছিলেন তিনি।
একাংশের মতে, শান্তি বাবু শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সেই সূত্রেই তিনি একাধিক কলেজের পরিচালন সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। তবে শিক্ষক নিয়োগে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ২০১৯ সালে। সে সময় প্রেসক্লাবের বাইরে হবু শিক্ষকরা আমরন অনশন শুরু করেছিলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সঙ্গে নিজে দেখা করে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন শান্তি বাবু। যদিও তাঁকে কমিটিতে রাখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কমিটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু, তাতে আন্দোলনকারীদের সমস্যার সমাধান হয়নি, উলটে মেধা তালিকার বাইরের প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে গেল।