বিজেপি বিক্ষুব্ধদের নিয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। বিজেপির অন্দরে যখন এইরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তখন দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক নাকি গত দু'মাস হয় না। দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকেই নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, দলের রাজ্য সভাপতি বদল হওয়ার পর থেকেই দলের ভিতরে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব নেওয়ার পর দলকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। এই সময় দলের অভ্যন্তরে বিদ্রোহ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এই বিদ্রোহকে কড়া হাতে দমন করার জন্য যে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রয়োজন, তার অস্তিত্বই এখন প্রশ্নের মুখে। দিলীপ ঘোষ দলের রাজ্য সভাপতি থাকার সময় তিন সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তিন সদস্যের এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির মধ্যে চেয়ারম্যান হিসাবে ছিলেন সাংসদ সুভাষ সরকার। বাকি দুজন ছিলেন রথীন বসু ও বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে নতুন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘এখনও নতুন কমিটি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুরনো কমিটিই কাজ করার কথা।’ ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিরূপ মন্তব্য করায় দল থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল হাওড়া সদরের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে। শুধু সুরজিৎই নয়, দলের অনেকেই এখন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি অনেকেই এখন দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন। এই পরিস্থিতিতে দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়েই অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।