বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > এক অন্য রবি , যে রবি ‘বিপ্লবী’
পরবর্তী খবর

এক অন্য রবি , যে রবি ‘বিপ্লবী’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

একদিকে তিনি হিংসাত্মক পন্থার অভিভাবক সুলভ সমালোচক ছিলেন, আবার তার চেয়েও বেশি তার লেখায় ও কাজকর্মে অতি স্পষ্টভাবেই বারংবার পরিস্ফুট হয়েছে ঐ দুঃসাহসী তরুণদের প্রতি তাঁর গভীর টান এবং সেটাও সেই একই অভিভাবক সুলভ।

 

বিক্রমজিৎ ভট্টাচার্য

 

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সাথে ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের কথা শোনা যায় । ১৯০৫ এ বঙ্গভঙ্গের সময়ে একটু বেশিই শিরোনামে আসে এই ঠাকুরবাড়ি। অবনী ঠাকুরের একটা লেখা থেকে জানা যায় – ‘রবিকাকা বললেন রাখীবন্ধন উৎসব করতে হবে । ঠিক হল সকালবেলা গঙ্গায় স্নান করে সবার হাতে রাখী পরানো হবে। সামনেই জগন্নাথ ঘাট , সেখানেই যাবো। রবিকাকা বললেন সবাই হেঁটেই যাবো, গাড়িঘোড়া নয়। এদিকে সকালে রাস্তার দু ধারে বাড়ির ছাদ থেকে আরম্ভ করে ফুটপাত অবধি লোক দাঁড়িয়ে গেছে , মেয়েরা ফুল ছড়াচ্ছে , শাঁখ বাজাচ্ছে। দিনু গান গাইছে –

‘বাংলার মাটি , বাংলার জল...’

স্নান সারা হল। সাথে ছিল একগাদা রাখী। হাতের কাছে ছেলে মেয়ে যারা ছিল কেউ বাদ পড়ল না, সবাইকে পরানো হল। পাথুরেঘাটা দিয়ে আসছি , দেখি বীরু মল্লিকের আস্তাবলে কতোগুলো সহিস ঘোড়া মলছে। হঠাৎ রবিকাকা ধা করে বেকে গিয়ে ওদের হাতে রাখী পরিয়ে জড়িয়ে ধরলেন। ওরা সকলেই মুসলমান। ওরা তো হতবাক’।

আসলেই বাঙালী বিপ্লবীদের অনেকের আনাগোনা ছিল ঠাকুরবাড়িতে। তবে খুব কম লোকেই জানতেন এদের কথা। এদের চিনতেন এদের জানতেন সুরেন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ। এই দুই ভাইএর কাছে আসতেন বিপ্লবীরা। বারীন ঘোষ এসেছেন, উল্লাসকর দত্ত এসেছেন, রাসবিহারী ও অরবিন্দ ঘোষ এসেছেন। আন্দামানে দ্বীপান্তরিত হয়েছিলেন যারা তাঁদের বেশিরভাগেরই যোগাযোগ ছিল এই ঠাকুর বাড়ির সাথে। অনুশীলন সমিতির আদি পর্বের বিশিষ্ট কর্মী বিপ্লবী অবিনাশচন্দ্র নিজে ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে মাসে মাসে টাকা নিয়ে আসতেন। প্রথম দিকে রিভালভার কেনার টাকাও নিয়ে আসতেন। পরবর্তীকালে সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে যোগাযোগের সূত্রে কমিউনিস্ট নেতা মুজফর আহমেদ, আব্দুল হালিম, নলিনী গুপ্ত প্রমুখ প্রায়শই যেতেন ঠাকুরবাড়িতে এবং শোনা যায় ঠাকুরবাড়ির একতলায় একটা গোপন ঘরে রীতিমত তাঁরা সকলেই গুপ্ত মিটিংয়ে যোগও দিয়েছেন। উপরিউক্ত সমস্ত বিপ্লবী এবং কমিউনিস্টদের আনাগোনার কথা সমস্ত কিছুই জানতেন ‘রবিকাকা’ এবং অনেক সময় তাঁর সাথেও এরা সকলেই বিভিন্ন বিষয়ে আলাপও করত।

অগ্নিযুগের এই সশস্ত্র বিপ্লবীদের সম্পর্কে রবি ঠাকুরের মনোভাবের দুটি দিক বারবার উঠে এসেছে – একদিকে তিনি তাঁদের অনুসৃত হিংসাত্মক পন্থার অভিভাবক সুলভ সমালোচক ছিলেন, আবার তার চেয়েও বেশি তার লেখায় ও কাজকর্মে অতি স্পষ্টভাবেই বারংবার পরিস্ফুট হয়েছে ঐ দুঃসাহসী তরুণদের প্রতি তাঁর গভীর টান এবং সেটাও সেই একই অভিভাবক সুলভ। তিনি লিখছেন –‘ ইহারা ক্ষুদ্র বিষয় বুদ্ধিকে জলাঞ্জলি দিয়া প্রবল নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবার জন্য সমস্ত জীবন উৎসর্গ করিতে প্রস্তুত হইয়াছে। এই পথের প্রান্তে কেবল যে গভর্নমেন্ট চাকরি বা রাজ সম্মানের আশা নাই তাহা নহে। ঘরের বিজ্ঞ অভিভাবকদের সঙ্গেও বিরোধে এ রাস্তা কণ্টকাকীর্ণ। ইহারা কংগ্রেসের দরখাস্ত পত্র বিছাইয়া আপন পথ সুগম করিতে চায় নাই’।

১৯০৭ এর আগস্টে ‘বন্দেমাতরম’ ইংরেজি দৈনিকে বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ একটি রাজদ্রোহমূলক লেখা লিখে পুলিসের সমন পান এবং পরে জামিনে আদালত থেকে মুক্ত হন। সাথে সাথেই রবীন্দ্রনাথ অরবিন্দকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন – ‘দেবতার দ্বীপ হস্তে যে আসিল ভবে , সেই রুদ্র দূতে বল কোন রাজা কবে পারে শাস্তি দিতে’।

একটি পত্রের এক জায়গায় তিনি লিখছেন – ‘অরবিন্দকে জেলে দিলে ও কাগজের কি দশা হবে জানিনে। বোধ হয় জেল থেকে সে নিষ্কৃতি পাবে না । আমাদের দেশে জেল খাটাই মনুষ্যত্বের পরিচয় স্বরূপ হয়ে উঠেছে’।

১৯০৮ সালে খুলনা সেনহাটি জাতীয় স্কুলের শিক্ষক হীরালাল সেন ‘হুঙ্কার’ নামে একটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেন । বইটি সরকার দ্বারা বাজেয়াপ্ত হয় এবং ব্রিটিশরাজ বিরোধী কবিতা লেখার জন্য লেখকের ছ'মাস কারাদণ্ড হয়। এদিকে মুসকিল হল বইটি উৎসর্গ করা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে । সেই সূত্রে কবিগুরু সমন পেলেন খুলনার মাজিস্ট্রেট এর কাছ থেকে । সমনের বিষয়বস্তু ছিল সরকার পক্ষে তাঁকে সাক্ষী দিতে হবে। কবিগুরু গেলেন এবং গিয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন – স্বাধীনতাকাঙ্খী তরুণের পক্ষে কবিতা বা গান লেখা আদৌ অস্বাভাবিক নয়। ওকালতি তাঁর পেশা নয়। সুতরাং কবিতা বা গান কী পরিমাণ উত্তেজক হলে সেটা আইনত দণ্ডনীয় হবে সেটা তাঁর জানা নেই’। এটা শুনে মাজিস্ট্রেটও একদম চুপ। এদিকে এই হীরালাল সেনকেই ১৯১০ সালে কবিগুরু শিক্ষক পদে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন।

ব্রিটিশ সরকারের মনোভাব কোনদিনই কবিগুরু সম্বন্ধে ভাল ছিল না। ১৯০৯ তে সরকারের গোপন দলিলে লেখা নোট – Babu Rabindranath Tagore , as a friend of Arabinda Ghose, was the aristrocratic champion of the Party’. ঐ বছরই তাঁদের ৬ নং সার্কুলারে পুলিসের বড় কর্তা এফ সি ডেলি সুস্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন – To keep a close watch on the movements and doings of the more public and prominent persons connected with the political agitation. The list of the persons includes – Suren Banerjee , Motilal Ghose,Rabindranth Tagore …

এ প্রসঙ্গে পরবর্তীকালে প্রভাত মুখোপাধ্যায় মজা করে তাঁর এক রচনায় লিখছেন – ‘সরকারের দৃষ্টিতে কবি নিজেও একজন দাগি ছিলেন। শুনেছি কলকাতায় থাকাকালিন যখন ঘোড়ার গাড়ীতে চেপে রাস্তা দিয়ে যেতেন সেই সময় জোড়াসাঁকো থানা থেকে পুলিশ হেকে জানিয়ে দিত অমুক নং আসামী যাচ্ছে’।

১৯১৩-তে নোবেল পাওয়ার পরে পুলিশ মনে হয় কিছুটা সদয় হয় কবিগুরুর প্রতি , কারণ তখন থেকে তাঁরা তাঁদের গোপন রিপোর্টে রবীন্দ্রনাথকে উল্লেখ করত late suspect হিসেবে অর্থাৎ আধা সন্দেহভাজন !

১৯২৪ এর অক্টোবরে কবিগুরু তখন দক্ষিণ আমেরিকা সফরে। কলকাতা থেকে দিনু ঠাকুরের চিঠির মাধ্যমে জানতে পারলেন সরকার এক জঘন্য অর্ডিন্যান্স জারি করে বহু তরুণকে আটক করেছে। খবরটি পড়া মাত্রই রবি ঠাকুর লিখলেন –

ঘরের খবর পাইনে কিছুই, গুজব শুনি না কি

কুলিশপাণি পুলিশ সেথায় লাগায় হাঁকাহাঁকি।

শুনচি না কি বাংলা দেশের গান হাসি সব ঠেলে'

কুলুপ দিয়ে করচে আটক আলিপুরের জেলে।

মৃত্যুকে যে এড়িয়ে চলে মৃত্যু তারেই টানে

মৃত্যু যারা বুক পেতে লয় বাঁচতে তারাই জানে।

পরবর্তীকালে এই কবিতা সম্পর্কে তৎকালীন গোয়েন্দা বড় কর্তা স্যার ডেভিড পেত্রি তাঁর সরকারি নোট এ লিখেছিলেন – The poem was written last December at Buenos Ayres. It alludes to the action taken under the Bengal ordinance, and is one of the latest indications we have of Tagore’s political view.

দেশে তখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম খুব ব্যপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। ১৯২৯ সাল। লাহোর জেলে বিপ্লবী যতীন দাস অনশন শুরু করেন। এই অনশনের খবর শুনে কবিগুরু খুবই বিচলিত ছিলেন , তিনি তখন শান্তিনিকেতনে। ‘তপতী’ নাটক লিখে তার মহড়া দিচ্ছিলেন রোজ সন্ধ্যায়। শেষ পর্যন্ত ৬৩ দিন অনশন শেষে যতীন দাসের মৃত্যু হল। কবিগুরু মানসিকভাবে কিছুটা বিহ্বল হলেন। সেদিন সন্ধ্যায় আশ্রমবাসীদের নিয়ে ‘তপতী’র মহড়ায় কবিগুরু নিজে বারংবার পাঠের খেই হারাতে লাগলেন , শেষ পর্যন্ত সেদিন মহড়া বন্ধ করে দিলেন আর সেই রাতেই কবি লিখলেন – সর্ব খর্ব তারে দহে তব ক্রোধ দাহ’ গানটি, যেটি পরে ‘তপতী’ নাটকে অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯৩৩ সালে আন্দামানে বিপ্লবী বন্দীরা অনশন শুরু করে। কবিগুরু খবর পেয়েই টেলিগ্রাম করে লেখেন – বাংলাদেশ বাংলার ফুলগুলোকে শুকিয়ে যেতে দিতে পারে না। অনুরোধ তোমরা অনশন ভঙ্গ করো। পরবর্তীকালে বিপ্লবী গনেশ ঘোষ এর কাছ থেকে জানা যায় কবিগুরুর এই চিঠি জেল কতৃপক্ষ ৪৫ দিন গোপন করে রেখেছিলেন।

১৯৪১ এ চূড়ান্ত অস্ত্রোপচারের মাত্র আধ ঘণ্টা আগে কবিগুরুর উৎকণ্ঠিত প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ এর আশ্বাস – রুশ রণাঙ্গনে নাৎসি বাহিনীকে কিছুটা বোধহয় ঠেকানো গেছে’। শুনে রবি ঠাকুরের শেষ কথা ছিল – পারবে, ওরাই পারবে’।

বিপ্লব বা বিপ্লবীর আটপৌরে সংজ্ঞা অনুযায়ী তিনি কিন্তু কিছু কম ছিলেন না!

Latest News

‘সীমানা পেরিয়েও ওঁর গান…’! জুবিনের ‘জন্মদিন’, মন কাঁদল মমতার, পোস্ট টুইটারে ‘ভেবেছিলেন আমি খুব সস্তা?’ জোয়ার ভাঁটা টিমের ‘অনৈতিক কাজ’, বিস্ফোরক সাগরিকা রায় মায়ের কাঁধ ছাপিয়েছে ঋষিত, প্য়ারিসে ছেলের জন্মদিন উদযাপন কৌশিকির,আদর করে কী ডাক? শীতকালে সপ্তাহের পর সপ্তাহ সতেজ থাকবে ধনে পাতা, জেনে নিন কীভাবে রাখবেন শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য বিষাক্ত এই ৫ খাবার, সতর্ক করলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দুধ চা পান করেও কি ওজন কমানো সম্ভব? পুষ্টিবিদ জানালেন কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে বিহার হয়েই গঙ্গাজি পৌঁছান বাংলায়, ওখানেও জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলব, হুংকার মোদীর এসআইআরে BLA নিয়োগে নিয়োগে নতুন ছাড়, বিতর্কে কমিশন, তোপ তৃণমূলের ‘কারোর ক্ষতি না করে…’! বাংলায় ‘মা হতে চাই না’ নিয়ে কুণালের খোঁচা,কী জবাব সোহিনীর CAA-তে আবেদনের নথি গ্রহণ করা হোক SIR-এর জন্য, হাইকোর্টে হল মামলা

Latest bengal News in Bangla

বিহার হয়েই গঙ্গাজি পৌঁছান বাংলায়, ওখানেও জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলব, হুংকার মোদীর এসআইআরে BLA নিয়োগে নিয়োগে নতুন ছাড়, বিতর্কে কমিশন, তোপ তৃণমূলের CAA-তে আবেদনের নথি গ্রহণ করা হোক SIR-এর জন্য, হাইকোর্টে হল মামলা হাইকোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ, তবে পুশ ব্যাক করা সোনালি এখনও ফিরলেন না দেশে বড়মা সবার না সেলেবদের? কেন এই বছর ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের? খোঁজ নিল HT বাংলা ৯ ঘণ্টা ধরে চলে চন্দ্রনাথের জেরা, ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী বললেন… দীপাবলিকে ঘিরে প্রস্তুতি কলকাতা পুলিশের, শব্দদূষণ রুখতে পদক্ষেপ, বৈঠকে সিপি দুর্গাপুর ধর্ষণের মূল অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেন বোন, অপরাধ পুনর্গঠনে ঘটনাস্থলে পুলিশ বারবার দুর্ঘটনা, ২০১৯-এও পদপিষ্ট হয়ে আহত হন যাত্রীরা, বর্ধমান কাণ্ডে কী বলছে রেল যৌনাঙ্গে ক্ষত, ব্যাপক রক্তপাত, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডের রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?

IPL 2025 News in Bangla

৮৬ দিন পর মৌনতা ভাঙল RCB! চিন্নাস্বামীতে পদপিষ্ট-কাণ্ডে নিহতদের জন্য বড় ঘোষণা বিতর্কে কোহলির ভিডিয়ো! IPL 2025 জয়ের পরে RCB শোভাযাত্রার দুর্ঘটনায় নতুন মোড় গোপন থাকল না রিপোর্ট, বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট কাণ্ডে RCB-র ঘাড়েই দোষ চাপাল সরকার টাকা ধার নিয়ে ফেরত দেয়নি… যৌন শোষণের অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন RCB-র তারকা আইপিএল-এর মূল্যায়ন ১৫৮,০০০ কোটি ছাড়াল! সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজি হল… রাজ কুন্দ্রা ব্ল্যাকমেল করছে! আদালতে দাবি রাজস্থান রয়্যালস কর্ণধার গোষ্ঠীর! সামনে নেই T20! তবু কেন টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই ইংল্যান্ডে গেলেন সূর্যকুমার যাদব? আইপিএল ২০২৫-এ সাফল্যের পর ওজন বেড়েছে বৈভব সূর্যবংশীর! কী বললেন রাহুল দ্রাবিড়? আমি Royal Challenge খাই না! RCBকে নিয়ে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীর মজাদার মন্তব্য বেঙ্গালুরুতে RCB সমর্থকদের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন রাহুল দ্রাবিড়!

Copyright © 2025 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.