কিছুদিন আগেই এই রবীন্দ্র সরোবরে মাছ মরে ভেসে উঠেছিল। এনিয়ে জল পরীক্ষাও করার ব্য়বস্থাও করেছিল মৎস্য দফতর। শেষ পর্যন্ত রিপোর্ট দেখা যায় সরোবরের তিনটি জায়গায় অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। তবে এবার সামনেই ছট পুজো। সেক্ষেত্রে ফের দুষণের সম্ভাবনা থেকেই গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে ঢাকুরিয়ার রবীন্দ্র সরোবর পরিদর্শন করেন পরিবেশবিদ ও আইনজীবী সুভাষ দত্ত। এরপর বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। শনিবার তিনি জাতীয় সরোবর দুষণের ২৭টি বিপজ্জনক ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেন। আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে পরিবেশ সংক্রান্ত মামলায় এখানকার ছবি ও তথ্যও তুলে ধরা হবে।
এদিকে আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর ছটপুজো। তবে এবার জলজ প্রাণী ও সরোবরের বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষার জন্য রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো হবে না বলে জানানো হয়েছে।। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, গঙ্গার ৩৭টি ঘাট, যোধপুর পার্ক, পোদ্দারনদর, আনন্দপুর, পাটুলি মিলিয়ে মোট ১৭০টি ঘাট ছটপুজোর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে কেএমনডিএর তরফে জানানো হয়েছে, ছটপুজোর সঙ্গে যুক্ত মানুষরা থাকেন এমন এলাকার কাছাকাছি হোর্ডিং, ব্যানার, পোস্টারের মাধ্যমে বিকল্প জলাশয়ের কথা জানানো হচ্ছে। কেউ যাতে রবীন্দ্র সরোবরে চলে না যান সেটাও বলা হচ্ছে। প্রত্য়েকটা জলাশয়ে স্নান, পুজো, পূণ্যার্থী মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।