সিঙুর আন্দোলনে বেচারামের সঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। বৃহস্পতিবার তাঁর বিদ্রোহে দলের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এভাবেই শুরু করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র সৌগত রায়। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথবাবু অত্যন্ত প্রবীণ ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য দল গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।
এদিন সৌগত রায় বলেন, ‘রাজনীতিতে অবস্থানে দৃঢ় থাকলে চলে না। নমনীয় হতে হয়। রবীন্দ্রনাথবাবু ২০০১ সাল থেকে দলের বিধায়ক। সিঙুর আন্দোলনে তিনি বেচারামের সঙ্গে ছিলেন। তাঁর কথা দল গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। তিনি প্রবীণ মানুষ। তাঁকে কেই অসম্মান করবে না।’
সৌগত রায়ের আশ্বাস, ‘রবীন্দ্রনাথবাবুর বিষয়টি খোদ দলনেত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন। তাই সমাধানসূত্র একটা বেরোবেই।’
বৃহস্পতিবারই ফের একবার দলত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বলেন, ‘আমার মনোনীত মহাদেব দাসকে সিঙুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি না করা হলে দলত্যাগ নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবো।’
গত মাসে হুগলিতে দলের সাংগঠনিক রদবদলের পরই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। বেচারাম মান্না মনোনীত ব্যক্তিকে সিঙুর ব্লক সভাপতি করায় দলত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পরে দলের তরফে মহাদেব দাসকে জেলার অন্য পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি রবীন্দ্রনাথবাবু।