বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > জেল ফেরত আসামীর মুখে বিচারব্যবস্থার সমালোচনা শুনতে হবে?: রাহুল সিনহা

জেল ফেরত আসামীর মুখে বিচারব্যবস্থার সমালোচনা শুনতে হবে?: রাহুল সিনহা

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা

তৃণমূলের মুখপাত্রকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আর কে উষ্মা প্রকাশ করছে? সারদায় জনগণের টাকা চুরি করে যে জেলে ছিল। এখনও তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। কালকে আবার সেই মামলায় জেলে যাবে কি না গ্যারান্টি নেই। সেইরকম একজন জেল ফেরত আসামী বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে লম্বা-চওড়া কথা বলবে আর আমাদের শুনতে হবে?

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নাম না করে তৃণমূলের আক্রমণের তীব্র নিন্দা করল বিজেপি। শুক্রবার বিকেলে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলেই বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করছে একজন জেল ফেরত আসামী।’

এদিন রাহুলবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বিচারব্যবস্থাকে হেয় করতে শিখিয়েছেন। তিনি নিজে নানা ভাবে বিচারব্যবস্থাকে হেয় করেছেন। গণতন্ত্রকে শেষ করার চেষ্টা করেছেন। তার সঙ্গীসাথীরা যে একাজ করবে এটা স্বাভাবিক’।

রাহুল সিনহার মতে, ‘বিচারব্যবস্থাকে গালি দিতে শুরু করেছে মানে, তদন্তকারীরা আসল চোরদের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে। আর সেকারণেই তৃণমূলের লোকেরা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে। সিবিআই তদন্তে ইতিমধ্যে সামনে চলে এসেছে কার নির্দেশে হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী কার নির্দেশে একাজ করেছে সেটা সামনে চলে আসা মানে একদম চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত তদন্ত পৌঁছে গেল। আর সেই কারণে এত উষ্মা প্রকাশ করছে’।

তৃণমূলের মুখপাত্রকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আর কে উষ্মা প্রকাশ করছে? সারদায় জনগণের টাকা চুরি করে যে জেলে ছিল। এখনও তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। কালকে আবার সেই মামলায় জেলে যাবে কি না গ্যারান্টি নেই। সেইরকম একজন জেল ফেরত আসামী বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে লম্বা-চওড়া কথা বলবে আর আমাদের শুনতে হবে? এ গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি’।

শুক্রবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘কেউ হয়তো নিজেকে অরণ্যদেব ভাবছেন। বিচারকের চেয়ারের প্রোটেকশন নিয়ে কেউ যদি বলে আমার দলকে তুলে দেবে মুখপাত্র হিসাবে তাঁকে কি আমি রসগোল্লা খাওয়াবো? যান অরণ্যদেব গাঙ্গুলি, আপনার যা ক্ষমতা আছে করে নিন’।

সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘আপনি হিরো সেজে ওখানে বসে বলবেন দালাল মুখপাত্র? বিচারকের আসনের অপব্যবহার করছেন। নিজের ইমেজ বিল্ডিং করছেন। অবসরের পর রাজনীতি করার জমি তৈরি করছেন। বিচারকের হাতে ক্ষমতা আছে। তিনি নির্দেশ দেবেন। এসব কী কথা? দল তুলে দিতে বলব?’

 

বন্ধ করুন