সামনেই রেল স্টেশন, মেট্রো স্টেশন, হাসপাতাল, অটো-ট্যাক্সিস্ট্যান্ড- শিয়ালদার সেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আগুন লাগল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘ফায়ার বল’-ও ছোড়া হয়। আপাতত যা খবর, তাতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে আগুনের যেরকম তীব্রতা ছিল, তাতে ক্ষতির অঙ্কটা নেহাত কম হবে না বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। একটি মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগে থাকতে পারে। আর খাবারের দোকানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। অপর অংশের আবার দাবি, ফুড কোর্টের রোল সেন্টার থেকেও আগুন লেগে থাকতে পারে।
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ শিয়ালদা স্টেশনের বাইরে ফুড কোর্টে আগুন লেগে যায়। শিয়ালদা স্টেশনের দক্ষিণ শাখায় ঢোকার জন্য যে পথ রয়েছে, সেদিকেই ওই ফুড কোর্ট ছিল। মুহূর্তের মধ্যে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। গলগল করে বেরোতে থাকে কালো ধোঁয়া। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা।
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের পরে
একেবারে কাছেই রেল স্টেশন, মেট্রো স্টেশন, বিআর সিং হাসপাতাল এবং অটো-ট্যাক্সিস্ট্যান্ড থাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। যদিও পরবর্তীতে কিছুটা শান্ত হয় পরিস্থিতি। রেল স্টেশন, মেট্রো স্টেশন, হাসপাতালের দিকে আগুন ছড়ায়নি। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুড কোর্ট। আশপাশের কয়েকটি দোকানেও আগুনের আঁচ পড়েছে।
শিয়ালদায় চাপ আছে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য
এমনিতে শনিবার হওয়ায় তুলনামূলকভাবে ওই অংশে ভিড় কম ছিল। তবে গঙ্গাসাগর মেলা থাকায় বাড়তি একটা চাপ রয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য শিয়ালদা থেকে একাধিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। শিয়ালদা স্টেশনের ১৫ এবং ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে নামখানা ও কাকদ্বীপগামী ট্রেনগুলি। তাছাড়াও কলকাতা থেকে যাতে গঙ্গাসাগরে মানুষ সহজেই পৌঁছাতে পারেন, সেজন্য হাওড়া স্টেশন এবং বাবুঘাট থেকে সরকারি বাস চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, আজ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১,৮০০টি ট্রিপ দেওয়া হবে।