গুজরাট পুলিশ হাতে গ্রেফতার হয়েছে ১৯ বছর বয়সি এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত এক সিরিয়াল কিলার। ওই সিরিয়াল কিলার কাটিহার এক্সপ্রেসে তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে খুনের সঙ্গেও জড়িত বলে জানতে পারে পুলিশ। ইতিমধ্যেই মধ্যেই ধৃত যুবক রাহুল ওরফে ভোলু কর্মবীর জাঠকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাতে জানা গিয়েছে, সে তবলাবাদককে খুন করার পর বেশ কয়েকটি ট্রেন পরিবর্তন করে হাওড়ায় আসে, তারপর সেখান থেকে খড়গপুরে যায়। কিন্তু, হাওড়া স্টেশনে সমস্ত সিসিটিভি খতিয়েও অভিযুক্তকে দেখা যায়নি। এই অবস্থায় ফের সিসিটিভি খতিয়ে থাকা শুরু করেছে রেল পুলিশ।
আরও পড়ুন: ট্রেনে খুন বালির তবলাবাদক, ফোন মিলল গুজরাটের সিরিয়াল কিলারের কাছে,কীভাবে কিনারা?
জানা গিয়েছে, হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা ওই যুবক চারটি রাজ্যে বিভিন্ন খুন, ধর্ষণ এবং বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তদন্ত অনুযায়ী, রাহুল বেশিরভাগ খুন এবং লুটপাট করেছে ট্রেনের মধ্যে। শুধু তাই নয় ২৫ দিনের ব্যবধানে সে ৫টি খুনের কথা স্বীকার করেছে। বর্তমানে গুজরাট পুলিশের হেফাজতে রয়েছে রাহুল। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এরাজ্যের রেল পুলিশ জানতে পেরেছে, তবলাবাদককে খুনের পর পুনরায় মালদায় ফিরে যায় সে। এরপর সেখানে হাওড়াগামী একটি ট্রেন ধরে হাওড়া স্টেশনে নামে। সেখান থেকে খড়গপুর পৌছয়। তবে এরপর কোন ট্রেন ধরে সে রাজ্যের বাইরে গিয়েছে তা পরিষ্কার হচ্ছে না তদন্তকারীদের কাছে। ফলে ধৃত সত্যি কথা বলছে কি না সে বিষয়টি নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তাঁরা।
অভিযুক্তকে জেরা করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের রেল পুলিশ মালদা থেকে শুরু করে সব শুরু করে এই রুটে থাকা সব স্টেশনের সিসিটিভি খতিয়ে দেখেছে। সেই সঙ্গে হাওড়ার সিসিটিভিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু কোথাও তার উপস্থিতি চোখে পড়েনি। তাই নতুন করে সিসিটিভি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশের দুটি দল সিসিটিভিগুলি খতিয়ে দেখছে। গুজরাট পুলিশের হাতে রাহুল গ্রেফতার হওয়ার পরে সেখানে রাজ্যের রেল পুলিশ প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারে। আরও তথ্যের জন্য তাকে বাংলায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। যদিও জিআরপি তাকে এ রাজ্যে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসতে চাইছে। তবে ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে আরও বেশকিছু মামলা থাকায় এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ১০ দিনের হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গত ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে ৫ টি রাজ্যে ৫টি খুনের কথা স্বীকার করেছে। তবে নানাভাবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে অভিযুক্ত। এই অবস্থায় তার মোবাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অভিযুক্ত বারবার নম্বর বদল করেছে। তাতে সমস্যা হচ্ছে তদন্তে।