লোকাল ট্রেন কবে থেকে চালু হবে, সেবিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারল না রেল। কিছুদিন আগে পূর্ব রেলের তরফে শিয়ালদহের ডিআরএম রাজ্য সরকারকে লোকাল ট্রেন চালানোর ব্যাপারে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে যেভাবে প্রতিদিন রেলের বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাতে এবার ফের রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রেল।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে ট্রেন চালানো যায়। আমরা রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে চিঠি লিখেছিলাম। ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এখনও অনুমতি দেয়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতিটা একটু জটিল হয়েছে। কারণ, এর সঙ্গে মানুষের রুটি রুজির প্রশ্ন জড়িত। আমরা ট্রেন চালাতে প্রস্তুত। স্যানিটাইজেশনও রেগুলার হচ্ছে। রাজ্য সরকার যখনই বলবে, আমরা তখনই ট্রেন চালাব।’ স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে যাত্রীদের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রাজ্য সরকার যাদের বলেছে, তাদেরকেই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোনারপুর রেল স্টেশনে লোকাল ট্রেনে স্বাভাবিক পরিষেবার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। গতকালের পর এদিনও ফের বিক্ষোভে সামিল হল যাত্রীরা। এদিনের বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন মহিলারা। এদিন বিক্ষোভরত এক যাত্রীর দাবি, ‘দিদির কাছে অনুরোধ, লোকাল ট্রেন চললে সব ট্রেন চলুক। না হলে কোনও ট্রেন চলবে না। কিছু লোক ট্রেনে যেতে পারবেন আর কিছু লোক পারবেন না, এটা চলতে পারে না। এভাবে কতদিন পেটের ভাত জোগাতে পারব।’
শুধু সোনারপুর নয়, মল্লিকপুর স্টেশনে ট্রেন এসে পৌঁছোলে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। গাড়িও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, গত বছরের লকডাউনের সময়ে এই চিত্র ধরা পড়েছিল শিয়ালদহ মেইন ও হাওড়া মেইন শাখার বিভিন্ন স্টেশনে। শেষ পর্যন্ত গত ১১ নভেম্বর লোকাল ট্রেন চালু হয়েছিল।