আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা চালু করতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে মেট্রো পরিষেবা চালু হলেও কবে থেকে তা বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে কি না তা নির্ভর করছে রেল বোর্ডের অনুমোদনের উপর। কিছুদিন আগেই শিয়ালদা মেট্রো পরিদর্শন করে গিয়েছেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে কলকাতা মেট্রো। ১০ পাতার এই রিপোর্টে মেট্রোর যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ফাঁকফোকরগুলি তুলে ধরে সেগুলি সংশোধন করতে বলেছেন সেফটি কমিশনার মহম্মদ লতিফ খান।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দমকল কর্মীদের স্টেশনের ভিতরে ও বাইরে আসা যাওয়ার জন্য আলাদা রাস্তা করতে হবে। বর্তমানে দমকল কর্মীদের জন্য যে রাস্তাটি রয়েছে সেটি যাত্রীদের ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তার ঠিক কাছেই। ফলে সে ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দমকল কর্মীদের জন্য রাস্তা কিছুটা দূরে করতে বলা হয়েছে। এছাড়া দমকল কর্মীদের জন্য থাকা দরজার চাবি স্টেশনমাস্টারের ঘরের পরিবর্তে একটি কাচের বাক্সে রেখে দিতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য বেরোনোর পথগুলোতে নির্দিষ্ট মাপের সাইনেজ ব্যবহার করার পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দিতেও লিখে দিতে হবে।
এছাড়াও, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে থার্ড রেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্লাটফর্মে ট্রিপ সুইজের কাছে যাত্রীদের জন্য ফোন রেখে দিতে বলা হয়েছে, যাতে তার সাহায্যে যাত্রীরা স্টেশনের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এর পাশাপাশি রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণের উপরেও জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কমিশনার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাকার ঘর্ষণজনিত সমস্যা এড়াতে লাইনে নিয়মিত স্বয়ংক্রিয় গ্রিজিংয়ের ব্যবসা করতে হবে। ট্রাকের জোর অংশে নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। তাছাড়া আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সুরঙ্গ দিয়ে হাঁটার জন্য যে পথ রয়েছে সেখানে সাইনেজ ব্যবহার করতে হবে। এই সমস্ত ফাঁকফোকর পূরণের জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে তিন মাস সময় দিয়েছেন সেফটি কমিশনার।