তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? মুকুল রায়ের ‘ঘরে’ ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই জল্পনা উস্কে দিলেন খোদ ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে গেলেন। সূত্রের খবর, দু'জনের মধ্যে একাত্মে বৈঠক চলছে।
রাজীবের অনুগামীদের দাবি, নেহাত সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য কুণালের বাড়িতে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাতে অবশ্য রাজনৈতিক জল্পনা একটুও কমছে না। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে ‘অনুপস্থিত’ রাজীব আচমকাই কুণালের বাড়ির যাওয়ার বিষয়টিকে তৃণমূল ফেরার প্রথম ধাপ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কুণালের বাড়িতে আচমকা হাজির হলেও রাজীবের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব যে ক্রমশ বাড়ছে, তাতে একেবারেই আশ্চর্য নন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বিধানসভা ভোটের আগে চাটার্ড ফ্লাইটে করে দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও নির্বাচনে হারের মুখে হয় রাজীবকে। তারপর থেকেই বিজেপির কর্মসূচিতে তেমন দেখা মিলছিল না রাজীবের। সম্প্রতি হেস্টিংসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা রাজ্যস্তরের নেতাদের বৈঠকেও আমন্ত্রণ পাননি রাজীব। তার জেরে জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?
সেই জল্পনার মধ্যেই দিনকয়েক আগেই রাজ্য সরকারের 'পাশে' থাকার বার্তা দিয়েছিলেন রাজীব। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে বিজেপি যখন সুর চড়াচ্ছে, সেই সময় ফেসবুক পোস্টে রাজীব লেখেন, ‘সমালোচনা তো অনেক হল। মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা কতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি, আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবেন না। আমাদের সকলের উচিত, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস - এই দুই দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে থাকা।’
যদিও রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনার মধ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসূন বলেন, ‘দলনেত্রীর কাছে আর্জি জানাব, ভোটের আগে হাওড়ার যাঁরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁদের যেন ফিরিয়ে না নেওয়া হয়।’ অন্যদিকে কল্যাণের বক্তব্য, রাজীবের ‘ভ্যালু শূন্য’।