দার্জিলিংকে নিয়ে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কি তাহলে সময়ের অপেক্ষা। রবিবার কলকাতার জাতীয় পাঠাগারে বিজেপির কার্যকারিনীর বৈঠকের পর নেতাদের বক্তব্যে এই প্রশ্নই ফের উঠতে শুরু করেছে। এদিন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত বলেন, আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, কলকাতার নির্দেশে পাহাড় চলবে সে সব দিন এখন অতীত। শুভেন্দু বলেন, পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করে পাহাড়ের স্থায়ী ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রাজু বিস্ত বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, কলকাতার নির্দেশে পাহাড় চলবে সে সব দিন এখন অতীত। পাহাড়ের মানুষ পাহাড় চালাতে সক্ষম। আর কোন মায়ের ব্যাটা তাতে বাধা দেয় আমি দেখতে চাই। খুব তাড়াতাড়ি শুভেন্দু অধিকারীর সভা হবে দার্জিলিংয়ে। ভারতীয় জনতা পার্টিই পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের জনতাকে ন্যায় দেবে। তবে গোর্খাদের স্বার্থে কেউ একজোট হলে আমি তাকে সমর্থন করব’।
এর পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা বারবার গোর্খাদের দাবি দাওয়া নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে রাজ্য সরকার কখনও কোনও প্রতিনিধি পাঠাননি। একটা বৈঠকে দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনার মিস্টার মিনাকে পাঠিয়েছিল। যার মেয়াদ ১৫ বার বাড়িয়েছে এই সরকার। দার্জিলিংয়ের নেপালি, গোর্খারা যেহেতু পিসি ভাইপোকে ভোট দেন না তাই তাঁদের ওপরে রাগে এই সমস্যা তিনি সমাধান করতে চান না। উল্টো দিকে লেপচা বোর্ড, ভুটিয়া বোর্ড করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা কার্যক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তুলে দিয়েছেন। তাই পাহাড়ের লোকেরা অর্থ কমিশনের টাকা পাচ্ছেন না। এটা বিরাট অপরাধ। স্থায়ী ক্ষতি করে দিয়ে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।