আমি এসবের সঙ্গে যুক্ত নই। তদন্ত হলেই প্রমাণ পাবেন। আদালতের পথে রওনা হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই দাবি করলেন CBI-এর হাতে গ্রেফতার হালিশহর পুরসভার পুরপ্রধান রাজু সাহানি। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, বর্ধমান সন্মার্গ নামে একটি চিটফান্ডের সুবিধাভোগী রাজু। তাঁর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে হালিশহরে গঙ্গার ধারে রাজু সাহানির প্রাসাদে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তল্লাশির সময় পুরপ্রধানের পোষা গুন্ডারা সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়। এর পর রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জানা যায়, রাজু সাহানির নিউ টাউনের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লক্ষ নগদ ও বেশ কিছু সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি। গ্রেফতার করে রাতে রাজু সাহানিকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন সিবিআই গোয়েন্দারা। রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
মিড–ডে মিলের খাবারে ডিটার্জেন্ট দেওয়ার অভিযোগ, পড়ুয়াদের বমি শুরু ইটাহারে
সকালে রাজু সাহানিকে আদালতে পেশের তোড়জোড় শুরু করে সিবিআই। সকাল ৮.৩০ মিনিট নাগাদ আসানসোল সিবিআই আদালতের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। গাড়িতে ওঠার সময় রাজু বলেন, ‘আমি কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত নই। খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন।’ বেলা ১২টা নাগাদ রাজুকে নিয়ে আসানসোল আদালতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের কনভয়।
সিবিআইয়ের দাবি, বর্ধমান সন্মার্গ নামে এক চিটফান্ড সংস্থা থেকে মোটা টাকা প্রোটেকশন মানি নিয়েছেন রাজু সাহানি। সেই টাকায় হালিশহরে দেদার সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। এছাড়া তাঁর তাইল্যান্ডে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চিটফান্ডের কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছ।
শনিবার সিবিআই আদালত বন্ধ থাকায় রাজুকে মুখ্য দায়রা বিচারকের এজলাসে পেশ করা হবে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে চাইবে সিবিআই।