আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজ্যসভার নির্বাচন রয়েছে। সুতরাং হাতে আর সময় রয়েছে ১৪ দিন। এই আবহে এখন বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কে হবেন? কাকে রাজ্যসভায় পাঠাবে ঘাসফুল শিবির? তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ কমিটি থেকে সেই নাম জানা যায়নি। কারণ নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর। বাংলা থেকে যাঁকে পাঠানো হবে তিনি রাজনীতির ময়দানে বেশ পটূ বলে জানা গিয়েছে। আর সেই নামটি দু’দিনের মধ্যে ঘোষণা করে দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ রাজ্যসভার আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু নাম ঘোষণা বাকি।
এদিকে আগামী ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। আর আজ শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর। সুতরাং হাতে আর সময় বলতে তিনদিন। শেষ মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে বলে জানা যাচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে পদত্যাগ করেন জহর সরকার। সেই আসনেই নির্বাচন হবে। এখন যা বিধায়ক এবং সাংসদ সংখ্যা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেতা কোনও ব্যাপার হবে না। তবে কোন ব্যক্তি প্রার্থী হবেন সেই নাম জানার জন্য সকলেই তৃণমূল সুপ্রিমোর দিকে তাকিয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: বারাণসী কলেজ নিষিদ্ধ করল বহিরাগত প্রবেশ, হনুমান চালিসা–নামাজ পাঠ নিয়ে উত্তেজনার জের
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় টিম ওই নাম জানার পরই ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জহর সরকারের মতো আর যাতে কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক মুখকে টিকিট দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই রাজনৈতিকভাবে পটূ তিনি এটা জানা গিয়েছে। জহর সরকারকে টিকিট দিয়ে আখেরে তৃণমূল কংগ্রেসের খুব একটা লাভ হয়নি। বরং দলের ক্ষতি এবং অস্বস্তি বেড়েছিল। গোটা বিষয়টি ম্যানেজ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এছাড়া এবার যিনি সাংসদ হবেন রাজ্যসভার তিনি পূর্ণ ৬ বছরের মেয়াদ পাবেন না। দীনেশ ত্রিবেদী যখন ২০২১ সালে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তখন জহর সরকারকে পাঠানো হয়। জহর সরকারও ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে সেই আসনটি এখন শূন্য। দীনেশ ত্রিবেদীকে আর রাজনীতির ময়দানে দেখা যায় না। জহর সরকার এক্স হ্যান্ডেলে এখন নানারকম পোস্ট করে থাকেন। তাছাড়া আর কোনও ভূমিকায় দেখা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের একটি আসন, অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি আসন এবং হরিয়ানা ও ওড়িশার একটি করে রাজ্যসভার আসনে নির্বাচন হবে।