তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে এবার রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলেছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা সিপিএম থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন তিনি। তারপর দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় সরে গিয়ে নির্দল রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। সেখানের মেয়াদ শেষ করার পর যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তখন থেকে প্রশ্ন উঠছিল, কবে আবার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হবে রাজ্যসভায়? মাঝে অনেকটা সময় লাগলেও রাজ্যসভায় ফের যাচ্ছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া পদে প্রার্থী হচ্ছেন ঋতব্রত। আর রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে যে ঋতব্রত যে উপযুক্ত সেটা আজ, শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে স্বীকার করে নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে রাজ্যসভার উপনির্বাচন ২০ ডিসেম্বর। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ ডিসেম্বর। তার ঠিক তিনদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল। সাংসদ হিসাবে আরও ১৫ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল জহর সরকারের। সংসদের উচ্চকক্ষে সেই শূন্য আসনে এবার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করল রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতির পদে আছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অত্যন্ত ভাল বক্তা। আগে রাজ্যসভায় যখন ছিলেন ঋতব্রত তখন তাঁর বক্তব্য অনেকেই শুনেছেন। বিজেপি বিরোধী বক্তা হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয়। এই পদ তাঁর প্রাপ্য বলে মনে করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: নতুন বছরেই ‘বিশেষ অধিবেশন’ ডাকতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, কারা থাকছেন? কেন এমন সিদ্ধান্ত?
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজ, শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। ওঁকে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করব, উনি রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করবেন এবং প্রত্যেক ভারতীয়র অধিকারের কথা তুলে ধরবেন।’ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় পাঠানোর উদ্দেশ্য হল শমীক ভট্টাচার্যকে চাপে রাখা। কারণ শমীক ভট্টাচার্য বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভায় গেলেও ভাল বক্তা। তাই টিট ফর টাইট দিতে রাজ্যসভায় ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হচ্ছে।
এছাড়া এই প্রার্থী চয়ন করে নিজের বক্তব্যে সিলমোহর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মু্খ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘নবীন প্রবীণ দু’জনকেই দলে দরকার। আজ যারা নবীন কাল তারা মাঝবয়সী। আর আজ যারা মাঝবয়সী তারা কাল প্রবীণ। দলে দুটোই দরকার।’ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ঋতব্রত এই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। রাজ্যজুড়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীদের জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সময় লাগতে পারে, কিন্তু পরিশ্রমের দাম সবসময়েই শেষে পাওয়া যায়।’