সাধুসন্তরা নেমে এলেন কলকাতার রাজপথে। পরনে গেরুয়া বসন। খালি পা। সাধুরা নেমে এলেন কলকাতার রাজপথে। প্রচন্ড রোদে তেতে উঠেছে রাজপথ। তার মাঝেই খালি পায়ে রাস্তায় নেমে এলেন সাধুসন্তরা। কিন্তু কেন?
বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের উদ্যোগে এই মিছিল। দীর্ঘ পথ হেঁটে সাধু সন্তরা আসেন স্বামী বিবেকানন্দর বাড়ির সামনে। সেখানে এসে তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তির সামনে জড়ো হন। এরপর শুরু হয় প্রতিবাদ।
যে সাধুদের দেখা যায় আশ্রমে, যে সাধুদের দেখা যায় দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে সেই সাধুদের এবার দেখা গেল কলকাতার রাজপথে। প্রতিবাদ মিছিলে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি নির্বাচনী সভা থেকে ভারত সেবাশ্রমের সাধু কার্তিক মহারাজকে নিশানা করে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর এনিয়ে মুখ খোলেন কার্তিক মহারাজ।
এদিন সেই মিছিলে হাজির ছিলেন কার্তিক মহারাজ। পূর্ণদাস বাউলরা। বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের উদ্যোগে এই সন্ত স্বাভিমান যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বাগবাজারে অবস্থিত মা সারদার বাড়ি থেকে শুরু হয়েছিল এই মিছিল। এরপর সেই মিছিল আসে স্বামী বিবেকানন্দর জন্মভিটে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত।
কলকাতার একাধিক রাস্তা পরিক্রমা করে এই মিছিল। এই মিছিল থেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনিও তোলা হয়। তবে এদিন এই সাধুদের মিছিল দেখতে রাস্তার ধারে হাজির হন অনেকেই।
দেখা যায় সারি দিয়ে মানুষ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এই কলকাতাকেই বলা হয় মিছিল নগরী। নানা ধরনের মিছিল দেখেছে কলকাতা। তবে এদিনের মিছিলটি ছিল একেবারেই অন্যরকম। গিরিশ অ্য়াভিনিউ, বাগবাজার স্ট্রিট, শ্য়ামবাজার, বিধান সরণি হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে।
কার্তিক মহারাজ সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, আজ ধর্মসংকট। আজ সাধুসন্তরা রাজপথে নেমে এসেছেন। হাজার হাজার মানুষ সাধুসন্তদের যেভাবে সম্মান দেখিয়েছেন তাতে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
হিন্দুদের উপর যে ধর্মপ্রচারে বাধা এসেছে। এটা আমায় কষ্ট দিয়েছে। বললেন পূর্ণদাস বাউল।
তবে শুধু কলকাতায় নয়, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এদিন মিছিল বের করেন সাধুসন্তরা। এদিন কলকাতার মিছিল থেকে সাধুসন্তরা তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। তাঁদের দাবি, সাধুদের সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছেন সাধু সন্তরা।